বাঙালির ধ্রুপদি কবি, যার সাহিত্যকর্ম কালকে অতিক্রম করে হয়েছে কালজয়ী। যার হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তিনিই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আজ ২২শে শ্রাবণ, কবিগুরুর ৮২তম প্রয়াণ দিবস। রবিঠাকুরের লেখনী ও দর্শন আজও মানুষকে দুর্যোগ মহামারি জয় করে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা জোগায়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক যুগান্তকারী ও কালজয়ী পরিবর্তনের সূচনা করেন। তার লেখা বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে পৌঁছে দেয়। যার চেতনায় ছিল মানুষের মুক্তির দর্শন, বিশ্বাস করতেন বিশ্বমানবতায়। কবিগুরুর বহুমুখী সৃজনশীলতা বাংলা সাহিত্য ও শিল্পের সব শাখাকে সমৃদ্ধ করেছে।বিশ্বকবি তার জীবদ্দশায় নানান দুর্যোগ দেখেছেন। তাইতো তার সৃষ্টিকর্ম আজও বৈশ্বিক দুর্যোগ মহামারি মোকাবিলায় অনুপ্রেরণা দেয়, উদ্বেলিত করে ধ্বংসের মধ্যে থেকে জেগে উঠতে।
শতবর্ষ পুরণো কবির সৃষ্টকর্ম আজও সমভাবে প্রাসঙ্গিক। বাঙালির আনন্দ, প্রেম, বেদনা ও দ্রোহ সব অনুভূতিতেই প্রতিধ্বনিত হয়।
কবিগুরু বাংলা সাহিত্যের মহীরুহ। ১৯১৩ সালে প্রথম এশীয় হিসেবে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। বিশ্বকবির প্রকাশিত মৌলিক কবিতাগ্রন্থ ৫২টি, উপন্যাস ১৩টি, আছে ছোট গল্প, গদ্যগ্রন্থ ও নাটকের বিপুল ভাণ্ডার। এঁকেছেন আড়াই হাজারেরও বেশি চিত্রকর্ম।
চিরন্তন সৌন্দর্য্যের মাঝে প্রকৃতি ও মানবপ্রেমের সব উপলব্ধিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি মনে বিরাজ করবেন অনন্তকাল।