(ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম): ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলার উদ্দেশ্যে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের ৩০১ নম্বর কক্ষে অবস্থান নেয়া নিহত জঙ্গি সাইফুল ইসলাম ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ আবুল খয়ের সাহসের সন্তান। খুলনার ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আত্মঘাতী জঙ্গি সাইফুল ইসলামের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নোয়াকাঠি গ্রামে।
ডুমুরিয়া থানার ওসি জানান, সকালে সাইফুলের মৃত্যুখবর পাওয়ার পর থানার এক নথিতে এক সাইফুল ইসলামের নাম পাওয়া যায়। এরপর তার ঠিকানা ধরে আবুল খয়েরকে থানায় ডাকা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার ছেলে সম্পর্কে জানা যায়।
ওসি বলেন, এ সময় প্রাপ্ত তথ্যে নিহত সাইফুলের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সাইফুল নোয়া কাঠির আবুল খয়েরের’ই ছেলে।
আবুল খয়েরের বরাত দিয়ে ওসি জানান, খয়ের সাহস নোয়াকাঠি মাঠেরহাট জামে মসজিদের ইমাম। তিনি একজন হাফেজ আবার জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আবুল খয়ের সাহস ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ।
নোয়াকাঠির বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আবুল খয়ের তার প্রতিবেশী। জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে নোয়াকাঠি মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম পদ থেকে খয়েরকে চাকরিচ্যুৎ করা হয়েছিল।
ওসি আরও জানান, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাইকগাছার একটি মাদ্রাসা থেকে হাফিজি পাস করেন। ডুমুরিয়ার উলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল (এসএসসি’র সমমান) পাস করার পর খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন এবং সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। সে খুলনার নেভি কলোনিতে থাকত। সপ্তাহে সপ্তাহে নোয়াকাঠির বাড়িতে আসত। গত ৭ আগস্ট কাজ করার উদ্দেশ্যে সে খুলনা থেকে ঢাকায় যায়। যাওয়ার আগে সে নোয়াকাঠির বাড়ি ঘুরে গিয়েছিল। ঢাকায় যাওয়ার পর সর্বশেষ গত রবিবার সাইফুল বাড়িতে যোগাযোগ করেছিল। সে সময় জানিয়েছিল সে সোমবার বাড়িতে আসছে। কিন্তু সোমবার বাড়িতে আসেনি। মঙ্গলবার তার আত্মঘাতির সংবাদ পাওয়া যায়।
এদিকে, ডিএমপি কশিনার আসাদুজ্জামান মিঞা বলেছেন, জঙ্গি সাইফুলের সঙ্গে একাধিক লোক ছিল। তার সহযোগীরা ঢাকায় থাকতে পারে।
তিনি বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তাদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছেন। এই জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর সক্ষমতা নাই। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটাতে পারে।