1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দুধের উৎপাদন বেড়েছে ১৩ লাখ মেট্রিক টন

বানিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

পরিবেশ, পুষ্টি ও আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে টেকসই ডেইরী সেক্টর এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে বুধবার পালিত হয় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২২। বিশ্বের অন্যান্যদেশের মতো বাংলাদেশেও দুগ্ধ দিবস পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দিনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে অর্থাৎ দেশের ৬১ টি জেলায় প্রচারণা, র্যালী, আলোচনা সভা, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, টক শো, মেলা, শিক্ষার্থীদের দুগ্ধ পান, ডেইরী আইকন-২০২১ পুরষ্কার দেযা হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। ১৯৮৯-৯০ থেকে ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ২.৪ শতাংশ, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬.৪৪ শতাংশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ২৩.৭০ লাখ টন, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে উন্নীত হয়েছে ১০৬.৮০ লাখ টনে।

বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১৯৩.৩৮ মিলিলিটার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৫২.০২ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে দুধ উৎপাদন হয় ১০৬.৮০ লাখ টন।২০২০-২০২১ অর্খবছরে মোট চাহিদা ১৫৪.৯৪ লাখ মে.টন বিপরীতে উৎপাদন ১১৯.৮৫ লাখ মে.টন। জন প্রতি প্রাপ্যতার দিক দিয়ে দিনে ১৯৩.৩৮ মিলি. এহিসেবে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩.০৫ লাখ মে.টন।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ক্রমবর্ধমান জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। দুধ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আধুনিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানা ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করা হচ্ছে যার সাথে জড়িত আছে বিশাল শ্রমশক্তি। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল।

মাট আমিষের ৮ শতাংশ আসে দুগ্ধ সেক্টর থেকে। গত দশ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্প। এই ইন্ডাস্ট্রি দেশের মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে যে অবদান রাখছে, তা অনস্বীকার্য।এ দিবসকে কেন্দ্রকরে সারা দেশেই নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে দেশের প্রকল্পভূক্ত ৬১টি জেলায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের নেতৃত্বে ১লা জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনে র‌্যালী, প্রচার প্রচারণা, এক বা একাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়/এতিমখামানায় ছাত্রদের দুধ বা দুধের পণ্য খাওয়ানো, সভা/সেমিনার আয়োজন করা, রচনা বা কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা, পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

১লা জুন সকালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২২ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী আয়োজন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিনিধিগণ উক্ত র‌্যালীতে অংশ নেবেন।কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ঢাকায় কেআইবি কনভেনশন হলে (নীচ তলায়) দিনব্যাপী প্রাণিজাত পণ্য প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে। যেখানে দেশের খ্যাতনামা ও অন্যান্য নতুন নতুন উদ্যোক্তাগণ অংশ নেবেন এবং দিনশেষে মূল্যায়ন সাপেক্ষে তিনটি স্টলকে পুরস্কৃত করা হবে।গরু ও ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুধ উৎপাদনের বৈশ্বিক সূচকেও কয়েক বছর ধরে এ দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েক বছর ধরে ছাগলের দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে মোট দুধ উৎপাদনে দেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩তম। গরুর দুধ উৎপাদন গত ১০ বছরে বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ।

খামারিরাদের সঙ্গে কথাবলে জানাগেছে, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের অভাব, মানসম্পন্ন দুধ সরবরাহ না করা, ভেটেরিনারি চিকিৎসক সংকট, দুধ প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করতে না পারা, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং বিদ্যুতের মূল্য, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি দুগ্ধ উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়।বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) মহাসচিব শাহ এমরান বলেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুধের চাহিদা। ভারতে খামারিরা সরকারি ভর্তুকি পায়। বাংলাদেশে খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ, বিপণন ও ভর্তুকি দিলে এ শিল্পে বিপ্লব ঘটবে।দুধের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০০টি ভিলেজ মিল্ক্ক কালেকশন সেন্টার (ভিএমসিসি) স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কারিগরি বিশেষজ্ঞ মো. গোলাম রাব্বানী।

তিনি বলেন, দুগ্ধশিল্প উন্নয়নে সরকার চার হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।২০৩১ সালে ২০ মিলিয়ন টন এবং ২০৪১ সালে ৩০ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি, ৮ থেকে ৯ বছরের মধ্যে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উদ্বৃত্ত রাখতে পারব।


সর্বশেষ - রাজনীতি