ইলেকট্রনিকসের মধ্যে গৃহস্থালির অন্যতম পণ্য ফ্রিজের বাজার একসময় প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর ছিল। বর্তমানে এই নির্ভরতা থেকে বের হয়ে অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় স্বয়ংসম্পন্ন। স্থানীয় বাজারের ৮০ শতাংশের বেশি চাহিদা পূরণ করছে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি বছরে দুই লাখ ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে।
ইপিবির তথ্য মতে, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও এই খাতে গত পাঁচ বছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২৬ শতাংশ। স্টেটিস্টা ডটকমের তথ্য মতে, বিশ্ববাজারে বছরে সাড়ে ২১ কোটি রেফ্রিজারেটর বিক্রি হয়। ১২৫ বিলিয়ন বা সাড়ে ১২ হাজার কোটি ডলারের বাজার। ৬ শতাংশ হারে এই বাজারের আকার বাড়ছে।
এই বাজারে বাংলাদেশের অংশ ০.৭ শতাংশ। বিশ্ববাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া এবং জার্মানি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল ৮৭ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি আয় এসেছে ৬৯ হাজার ৮১৮ কোটি ডলার।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এসেছে ২০ হাজার ৮৬২ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে আয় হয় তিন লাখ ৩৭ হাজার ৮৩২ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে আয় হয় দুই লাখ ৮৪ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার।
বছরে দুই লাখ ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছেসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশে তৈরি ফ্রিজের বাজার বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছোট হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এরই মধ্যে পোশাক খাতের মতো ইলেকট্রনিকস পণ্যের সম্ভাবনা বাড়ছে দারুণ ছন্দ নিয়ে।
উৎপাদন ও আমদানির জন্য চীন থেকে সরে আসছে ক্রেতা দেশগুলো। স্যামসাং এবং এলজির মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কারখানা তৈরি করেছে বাংলাদেশে।
দেশে ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরির অন্যতম প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি করছে। এরই মধ্যে ভারত, নেপাল, ভুটান ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশি ফ্রিজের রপ্তানি বাজারের সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্রিজের বিশ্ববাজার ধরতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। সাড়ে ১২০০ কোটি ডলারের এই বাজারে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ০.৭ শতাংশ। স্থানীয় বাজারও বাড়ছে ৭-১০ শতাংশ হারে।