1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

যে কারণে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্সের পাইলটরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বাংলাদেশে!

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

নিজেদের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনকি দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনগুলো এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও প্রশিক্ষণে সহায়তা করে বিমান। তবে এবার সংস্থাটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন এমআইএটি মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্সের ১২ পাইলটকে ড্রিমলাইনারের ‘লাইন ট্রেনিং’ দিচ্ছে বিমান। প্রশিক্ষণের জন্য পাইলট প্রতি বিমান আয় করবে ১৬ হাজার ডলার। দক্ষিণ এশিয়ায় বিমানই প্রথম নিজেদের পাইলটদের বাইরে অন্য এয়ারলাইনের পাইলটদের এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে বিমানের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, যে কোনও নতুন উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য পাইলটদের গ্রাউন্ড ট্রেনিং করতে হয়। গ্রাউন্ড ট্রেনিং শেষ হলে পাইলটদের সিমুলেটর ট্রেনিং করতে হয়। এরপর পাইলটরা লাইন ট্রেনিং, লাইন চেক সম্পন্ন করেন। সব প্রশিক্ষণ শেষ হলেই একজন পাইলট নতুন কোনও মডেলের উড়োজাহাজ পরিচালনার অনুমতি পান।

সম্প্রতি বোয়িংয়ের দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনেছে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্স। আর এই দুটি উড়োজাহাজ পরিচালনার জন্য তাদের পাইলটদের বোয়িং মিয়ামি ট্রেনিং সেন্টার থেকে সিমুলেটর ট্রেনিংসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে পাইলটদের ‘লাইন ট্রেনিং’ নিয়ে জটিলতায় পড়ে এমআইএটি মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্স। বোয়িং থেকে সরাসরি উড়োজাহাজ কিনলে এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি থাকলে এ ধরনের ট্রেনিং দিয়ে সহায়তা করে নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠান। তবে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্স তৃতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বোয়িংয়ের দুটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনেছে। প্রশিক্ষণের বিষয়টিও চুক্তিতে নেই। ফলে তাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।

প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহায়তা চেয়ে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্স যোগাযোগ করে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (ইফাআলফা) নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেনের সঙ্গে। ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন নিজেও ড্রিমলাইন উড়োজাহাজের পাইলট। বিমানে তিনি চিফ অব প্ল্যানিং অ্যান্ড শিডিউলিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিমানের বহরে রয়েছে চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ও দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রস্তাব বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জানান ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন। পরে এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেন বিমানের এমডি।

এ ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের সিভিল এভিয়েশনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়ার সিভিল এভিয়েশন অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ নিতে একেকজন পাইলটের দেড় মাস সময় লাগবে।

বিমান জানিয়েছে, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা-সিলেট-লন্ডন রুটের ফ্লাইটে মঙ্গোলিয়ান এয়ারলাইন্সের এক পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ট্রেনিং প্রোগ্রামটি চালু হয়েছে। মঙ্গোলিয়ান রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্সের ১২ জন পাইলট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রথম ব্যাচে তিন জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর এ জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।

বিমানের পাইলট ও ইফাআলফা নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন বলেন, বিমান সরাসরি বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কিনেছে এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টি চুক্তিতে ছিল। ফলে প্রথমে বিমানের প্রশিক্ষক পাইলটরা বোয়িং থেকে ট্রেনিং নিয়েছে। বোয়িং তাদের প্রশিক্ষক পাঠিয়ে বাংলাদেশেই পাইলটদের লাইন ট্রেনিং করে দিয়েছে।

ইশতিয়াক হোসেন বলেন, সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারতে বিভিন্ন দেশের পাইলটরা গ্রাউন্ডে ট্রেনিং নেয়। কিন্তু লাইন ট্রেনিং বিমানেই মাধ্যমেই প্রথমই বাংলাদেশে হচ্ছে। প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে লাইন ট্রেনিং করা যায় এ কনসেপ্ট দক্ষিণ এশিয়ায় নেই, আমরা প্রথম করছি।

ইশতিয়াক হোসেন বলেন, লাইন ট্রেনিং এ একজন পাইলট হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেন। গ্রাউন্ড ট্রেনিংয়ে যা যা বিষয় শেখেন, তাই ফ্লাইটে থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেন।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইশতিয়াক হোসেন বলেন, এই প্রশিক্ষণ চালু করার বিষয়ে বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই প্রশিক্ষণের জন্য আইনগত যে বিধি-বিধান ছিল সেসব বিষয়ে বেবিচক আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি