1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কতোটা যৌক্তিক?

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেনের লিটার ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পোট্রোলের লিটার ৮৬ থেকে করা হয়েছে ১৩০ টাকা। দেশে জ্বালানী তেল এর হঠাৎই এমন মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা সমালোচনা । বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে তেলের দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস করার প্রক্রিয়া সব দেশেই চলমান। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কতোটা যৌক্তিক এই মূল্য বৃদ্ধি?

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ থেকে ১৩৯ ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্চে তা বেড়ে ১৫৬ দশমিক ০৩ ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। তেলের এই মূল্য বৃদ্ধি ছিল গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথেই দেশে দাম বাড়ানো হয়নি। ফলশ্রুতিতে শুধু গত ছয় মাসে(ফেব্রুয়ারি-জুলাই) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সকল পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের এমন পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় প্রকৃতপক্ষেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।

এছাড়া জ্বালানী তেল এমন মুল্য বৃদ্ধি শুধু বাংলাদেশেই নয়, আমাদের আশেপাশের প্রতিবেশী দেশগুলতেও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২২ মে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করে ভারত সরকার, যা এখনও বিদ্যমান। এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় (১ রুপি সমান গড় ১.২৩ টাকা ধরে) যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা (ডিজেল) এবং ১৩০.৪২ টাকা (পোট্রোল)। অর্থাৎ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ টাকা এবং পেট্রোল লিটার প্রতি 88.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। এছাড়া ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার শঙ্কাও ছিল অনেকাংশে ।

বিভিন্ন দেশের জ্বালানি তেলের মূল্য (লিটার/টাকায়)প্রসঙ্গত জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৭ বার ডিজেলের দামে সমন্বয় হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ বার বেড়েছে আর কমেছে মাত্র ৪ বার। এর মধ্যে বিএনপির শাসনামলেই (২০০১-২০০৬ মেয়াদে) বেড়েছে ৯ বার।

তবে বর্তমান সরকারের আমলে জ্বালানী তেল এর দাম একাধিকবার কমানোর নজির রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। এর আগেও ২০০৯ সালে ১৩ জানুয়ারি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি