1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

স্বস্তির আনন্দের ঈদযাত্রা!

বিশেষ প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১ মে, ২০২২

মোজাহির হোসেন, বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। ২০০৬ সাল থেকে ঢাকার বাসিন্দা। প্রথমে শিক্ষার্থী হিসেবে পরে কর্মজীবী হিসেবে ঢাকা নিবাসী। ১৬ বছরের অভিজ্ঞতায় এবারই, সময় মতো গাড়ি ছাড়া, যানজটবিহীন, ভোগান্তিহীন অন্য রকম এক ঈদযাত্রার সাক্ষী হলেন। যা তার জন্য রীতিমতো স্বস্তিদায়ক।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর দুই বছর পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এবারেই মানুষ ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন। গত চার ঈদে ভয় আতঙ্ক ও স্বাস্থ্যবিধির ঘেরাটোপে আটকা ছিল মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব। এবার অনেকটা উচ্ছ্বলতা ফিরে পেয়েছে। তাছাড়া টানা ছুটির ফাঁদে পড়েছে রাজধানী। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছাড়বে- এর আভাস রোজা শুরুর আগেই দিয়েছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সংবাদ মাধ্যমগুলো।

সে হিসেবে পরিবহন ও সড়ক নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন জানিয়েছিলো, রেল, সড়ক ও নৌপথে নজিরবিহীন যানজট সৃষ্টি হবে। মহাসড়কে ঈদযাত্রা নরক যন্ত্রণায় পরিণত হবে। এমন আগাম বাণীতে মানুষের মধ্যে ঈদ যাত্রা নিয়ে ভয় ঢুকেছিলো। তবে গত চার দিনের ঈদযাত্রা এতটাই স্বস্তিদায়ক ছিল যা সংগঠনগুলোর ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছি।

ঈদযাত্রার শুরু থেকেই ছিল স্বস্তি। গাবতলীতে ঈদের চিরচেনা ভোগান্তি-দুর্ভোগের চিত্র একবারেই ছিলো না। ব্যাগ-বস্তা নিয়ে গাড়ির জন্য হই-হল্লা করে ছুটতে হয়নি কাউকে। দেখা যায়নি বাসের শিডিউল বিপযর্য়, হয়নি বিশৃঙ্খলাও। একবারে নরমাল পরিস্থিতি। ভিন্ন রকম এ ঈদযাত্রা অনেকের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা।

ঈগল পরিবহনে যশোরে যাচ্ছেন তৌহিদ হাসান। কল্যাণপুর কাউন্টারে বসে জানান, ভাবছিলাম গাবতলীতে ঢুকতে লাগবে ঘণ্টা দুই। এজন্য বেশি সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু রামপুরা থেকে আসতে সময় লেগেছে ১৫ মিনিট। সময় মতো আমার বাসও এসেছে। আশা করছি, সুন্দর ঈদযাত্রা হবে।

প্রতিবার ঈদে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনে ব্যাপক শিডিউল বিপযর্য় দেখা দেয়। ঢাকা ছাড়তেই লেগে যায় কয়েকঘণ্টা। কিন্তু এবার একবারই বিপরীত চিত্র। শনিবার রাতে সাঁইসাঁই গতিতে ঢাকা ছেড়ে যায় দূরপাল্লার পরিবহনগুলো। সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে ধীরগতিতে পড়লেও কোথাও দীর্ঘ সময়ের জন্য থেমে থাকেনি গাড়ির চাকা। যমুনা সেতুর টোল প্লাজার সামনে দাঁড়াতে হয়নি দীর্ঘক্ষণ। তবে গোবিন্দগঞ্জে সড়কের সংস্কার কাজ চলায় কিছুটা যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে।

তানজীর আহমেদ নামে এক রংপুরের যাত্রী বলেন, এবার সত্যি অসাধারণ অভিজ্ঞতা হলো। আমার আত্মীয়রা ২৮ তারিখ রওনা হয়েছে তারাও স্বাভাবিকভাবে গ্রামে পৌঁছেছে। কেউ ভোগান্তিতে পড়েনি।

তিনি আরও যোগ করেন, আমি দেখলাম মহাসড়কে পুলিশ খুব তৎপর ছিলেন। কোথা গাড়ি পড়ে থাকতে দেখিনি। যাত্রী উঠাতে পারেনি। লক্কড়ঝক্কড় গাড়িও ছিলো না সড়কে। আমার মনে হচ্ছে সরকার পরিকল্পনা করেছে এবার। যা কাজে দিয়েছে। এমন ঈদযাত্রা সব সময় সবার কামনা।

শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনে বগুড়া রওনা দেন শাহরিয়ার। সকাল সাতটায় পৌঁছে যান। এমনিতে এই রুটে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা লাগে। ঈদের ৮ ঘণ্টা লাগা একবারেই স্বাভাবিক মনে হয়েছে বলে জানান শাহরিয়ার।

শ্যামলী পরিবহনের জিএম জীবন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের সব রুটের পরিবহন এবার সময় মতো রাজধানী ছাড়ছে। এবারের সড়ক ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। রাস্তায় রাস্তায় প্রচুর পুলিশ সদস্য দেখা গেছে। এর আগে কখনও এরকম দেখিনি।

আর দুই রাত পর ঈদ। সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথে এবার ঈদযাত্রা নিয়ে এখনও তেমন ভোগান্তির চিত্র দেখা যায় নি। যাত্রীদের গাড়ি, ট্রেনের জন্য স্টেশনে বসে থাকতে হচ্ছে না। দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ঘরে ফিরতে হচ্ছে না। সবাই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে যাত্রা পথের স্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি