1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে স্বপ্ন বুনছেন চরফ্যাশনের গৃহহীনরা

ভোলা জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

জিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জমিসহ আধাপাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছে চরফ্যাশনের ভূমিহীন ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো। ভূমিহীন পরিবারগুলো উপহারের ঘরে আশ্রয় পেয়ে এখন সবজি উৎপাদন, নদীতে মৎস্য আহরণ, হাঁস মুরগি পালনসহ ক্ষেত খামারে কাজ করে নিশ্চিন্তে উপার্জন করে দিনাতিপাত করছে।

উপহারের ঘরে আশ্রয় পাওয়া পরিবারগুলো জানান, তারা কোনোদিন ভাবেননি মাথা গোঁজার মতো নিজেদের একটি ঠিকানা হবে। বিধবা ও পঙ্গু ঝর্ণা বেগম বলেন, তিন বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পরে একমাত্র প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। মানুষের বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করে অতিকষ্টে জীবনযাপন করেছি। আকতার ফরাজি ও কহিনুর বেগম বলেন, বিনামূল্যে ঘরসহ জমি পেয়ে আমরা অনেক খুশি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন। বিগত আমলে কোনো সরকার বিনামূল্যে রঙিন টিনে জমিসহ পাকাঘর পাওয়ার এমন স্বপ্ন দেখাতে পারেননি। আমরা তার জন্য দোয়া করি।উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চর নুরুল আমিন ২নং ওয়ার্ডের অন্ধ কেরামত আলী (৬৭) ও মল্লিকা বিবি (৫৫) ২ শতাংশ জমিসহ আধাপাকা ঘর পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ পেয়েছেন।

জানা যায়, কেরামত আলী দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। ৭০ এর প্রলয়ঙ্কারী বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে তার পরিবারের সবাই মারা যান। নদীগর্ভে তাদের জমিজমাও বিলীন হয়ে যায়। এতিম ও অসহায় কেরামত অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম করে পেট চালাতেন। পরে তিনি মল্লিকা বিবিকে বিয়ে করে চরফ্যাশনের নীলকমলে মানুষের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে জীবনযাপন করেন। তিনি বলেন, তার দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ১০ বছর বয়সে তার মেয়েটি মারা যায়। জ্বরে অসুস্থ হয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনেই অন্ধ হয়ে যান বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, বরাদ্দের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী জমি নির্বাচন করে গুণগতমান বজায় রেখে ঘরগুলো নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহহীনদের একটি টেকসই ও মানসম্মত ঘর নির্মাণ করে দেয়ার জন্য আমরা সবসময় তদারকি করছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর নির্দেশনায় উপজেলার প্রকৃত ভূমিহীন ও দারিদ্র্য গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়ন করে সঠিকভাবে ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন দারিদ্র্য পরিবারগুলোর জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে আধাপাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ে ২৮০টি ঘরের নির্মাণকাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি