1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ

বাণিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২

সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশ গত এক যুগ ধরে উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা ধরে রেখেছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনার আঘাতে কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে সারা পৃথিবী যখন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে, সেই সময় বাংলাদেশে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকে অর্থনীতি যখন পুনরুদ্ধারের পথে, ঠিক সে সময় নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। এ হার এখন ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগই সীমিত আয়ের মানুষ। করোনা অনেকেরই সঞ্চয় শেষ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকলে সবচেয়ে কষ্টে পড়বে সীমিত আয়ের সব।
 
আবার প্রণোদনা তহবিলের বড় অংশই ছিল ব্যাংকঋণ। এ অর্থ না ফিরলে তা খেলাপিতে পরিণত হবে, ব্যাংকেরও নতুন বিনিয়োগযোগ্য তহবিলে ঘাটতি পড়বে। এ অবস্থায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে মন্দার পূর্বাভাস সত্ত্বেও আগামী অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। 
 
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা সংশোধিত বাজেটেও অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত, আমদানি-রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতে চাঙ্গাভাব ফিরে আসা, কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বাড়তি রাজস্ব আয়ের কারণে এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
 
অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগামী ১৭ এপ্রিল ২০২১-২২ অর্থবছরের কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় বাজেট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।
 
অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, করোনা সংকটের মধ্যে ভোগ্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনার কৌশল নেওয়া হচ্ছে নতুন বাজেটে। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে বাজারে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষের স্বস্তি দিতে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহের মতো চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে সরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যপণ্য আমদানি, উৎপাদনে সহায়ক শুল্ককর ও ভ্যাটনীতি অবলম্বন এবং ভর্তুকি মূল্যে বাজারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের মতো পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। আশা করা হচ্ছে- চলমান সংকটের মধ্যেও জিনিসপত্রের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকবে। এদিকে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখনকার তুলনায় নতুন অর্থবছর বেশ কমে আসবে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
 
অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, আগামীতে টাকার আরও অবমূল্যায়ন প্রয়োজন হতে পারে, যা ইনফ্লেশন উসকে দেবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হলে জ্বালানি তেলের দাম কমবে।
 
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখনো অনেক সময় আছে। সামনে কী হয়, তা তো বোঝা যায় না। পরিস্থিতি যদি এ রকম থাকে, তা হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা মোটেও অসম্ভব হবে না।


সর্বশেষ - রাজনীতি