হেফাজতে ইসলামের কোনো সংবাদ না করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা। হেফাজতের হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও প্রেস ক্লাবে ভাংচুরের প্রতিবাদে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব সাংবাদিকরা। এ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, খ আ ম রশিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, দীপক চৌধুরী বাপ্পি, সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন খান বিটু, সাংবাদিক ও কবি জয়দুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা আহ্বায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডের আহ্বায়ক অধ্যাপক এমদাদুল হক, সাংবাদিক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মফিজুর রহমান লিমন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান রিমন, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বেলাল, জহির রায়হান, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, হাবিবুর রহমান পারভেজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হেফাজতের হরতালের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা এবং প্রেস ক্লাবে ভাংচুর করা হয়। এ হামলা ও ভাংচুর পরিকল্পিত। এ হামলা মুক্তচিন্তাকে রোধ করার শামিল।
এ হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা হেফাজতের কোনো নিউজ না করার ঘোষণা দেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে পৌর শহরের আশিক প্লাজায় গিয়ে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।