রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে নগদ প্রণোদনার অর্থ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে রেফারেল ও আরপিএল প্রদান বিষয়ক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পটুয়াখালীর পিয়ারা বেগম এবং পাবনার মো. সোহেল রানার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ প্রণোদনা হিসেবে প্রতিজনকে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে হস্তান্তর করেন। এ দুজন ছাড়াও এদিন ৫১৪ জন বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ প্রণোদনার সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে পাঠানোর জন্য ব্যাংকে পত্র পাঠানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোয়েসেল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বিএমইটি, পিকেএসএফ, আইন সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ব্লাস্ট, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের উপকারভোগীদের কীভাবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় এ বিষয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সচিব বলেন, এ প্রকল্প শেষ হলে মাঠ পর্যায়ে স্থাপিত ওয়েলফেয়ার সেন্টারগুলো ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অধীনে সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যক্রম চলমান রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সৌরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ তথা আত্মকর্মসংস্থানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মীরা রেফারেলের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেরাই নিজের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এ প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ বিদেশফেরত অভিবাসীকে নগদ প্রণোদনার অর্থসহ রেফারেল এবং দুই লাখ ৩৫ হাজার জনকে আরপিএল সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বলেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে বোর্ড বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যাতে করে আমাদের অভিবাসী ভাই-বোনেরা সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।
প্রসঙ্গত, রেইজ প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ফেরত ২ লাখ অভিবাসী কর্মীকে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে মোট ২৭০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
