1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরই মধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। বহুল আলোচিত আসন্ন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগামী ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবে। দলটির এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে কী থাকছে, তা নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির একাধিক সদস্য এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগএর সভাপতি নির্বাচনি ইশতেহার চূড়ান্ত করেছেন। বর্তমানে চলছে ছাপার কাজ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তরুণ ভোটারদের কাছে টানার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। একই সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সুশাসন নিশ্চিতের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। এবার ইশতেহার প্রণয়নে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষসহ নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি ও প্রত্যাশা সংযোজন করা হয়েছে। এতে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে।

গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবেন।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘দিনবদলের সনদ’। ২০১৪ সালে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’। আর এবারের ইশতেহারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সুশাসন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, অর্থনীতির অবকাঠামো, কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুতের উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর বিষয়গুলোও থাকছে ইশতেহারে।

২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত, হাসপাতাল, ব্যবসায়িক কার্যক্রমসহ বর্তমানে সব কাজ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পাদন হচ্ছে। এতে জনগণের ভোগান্তি যেমন কমেছে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাফল্য দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এ ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট রাজনৈতিক সহিংসতা দমন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার কাজের মাধ্যমে ইশতেহারের পূর্ণতা দিয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প দেশের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সারা দেশে অসংখ্য সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, ওভারপাস নির্মাণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ।

সাফল্যের এসব মাইলফলক পেরিয়ে ডিজিটাল যুগের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এবার এগিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘গ্রাম হবে শহর’ স্লোগান থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মূল স্লোগান হতে যাচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনি ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইশতেহারে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করেছে। এর প্রতিটি অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবারও নির্বাচনি ইশতেহার হবে স্মার্ট ও গণমুখী। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আগামী দিনে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান করাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্প-কারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আরেক সদস্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তিতে ভালো বোঝেন। সে কারণে ইশতেহারে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনি ইশতেহারে সুশাসন ও আইনের শাসন, গণতন্ত্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। থাকবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণের রোডম্যাপও। কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুতের উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুস্পষ্ট কর্মসূচি ও প্রতিশ্রুতি থাকছে। এবারের ইশতেহারে আরও থাকছে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গঠন, বিদেশনির্ভরতা কমানো এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র মুক্ত থাকতে নানা কর্মসূচি। তবে এবার ইশতেহারে শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির কাজ শেষ। ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত করেছেন। এখন ছাপার কাজ চলছে। এবারের ইশতেহারের মূল থিম- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কীভাবে কাছে টানা যায় সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইশতেহার কমিটি তাদের কাজ শেষ করেছে। ইশতেহারে এবার প্রাধান্য পেয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের বিষয়টি। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদে উদ্বুদ্ধ করতে অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে। এখন প্রযুক্তির যুগ। তরুণরা যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে রয়েছেন, তাই তাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য জনগণের কাছে আমাদের কী অঙ্গীকার, সেটি থাকছে ইশতেহারে। ইশতেহারে সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়গুলো বলা হবে। একই সঙ্গে পাঁচ বছর পর কী করা হবে, ১০ বছর পর কী করব তারও একটা রূপরেখা থাকছে ইশতেহারে।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

বিএনপি-জামাতপন্থী ব্যবসায়ী ও দালাল সিন্ডিকেটের ঘৃণ্য চক্রান্তে চামড়ার দামে বিপর্যয়!

করোনায় দিশেহারা ভারতের পাশে হলিউড তারকারা

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ, বিরোধিতায় শিক্ষার্থীরা

‘জিয়াকে ঠান্ডা মাথার খুনি বলায় আক্রমণ করা হয়েছে’ : বিচারপতি মানিক

সীমান্তে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে : বিএসএফ মহাপরিচালক

সারি সারি বৃত্তে মানুষ, ৬০০ পরিবারকে ভাটারা থানার সহায়তা

চন্দ্রাভিযানের পথে জাপানের মহাকাশযান স্লিমের যাত্রা

সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের আদর্শ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

তারেকের ‘খবরদারী’ মানছেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা

১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দিচ্ছে গ্রিস