দেশজুড়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় একদিনের ব্যবধানে অস্বাভাবিক দাম বাড়ে পেঁয়াজের। ক্রেতা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে প্রশাসনের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। শুক্রবার থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। শনিবার একলাফে তা দ্বিগুণ হয়ে দুইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে তিনদিন গড়াতেই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের ক্রেতা নেই। বাড়তি দাম হেঁকে অস্বস্তিতে আড়তদাররা। কোনো কোনো আড়তে আমদানি করা চায়না পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে দেশে দাম বাড়লেও পুরোদমে দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ছোট আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের বক্তব্য, দেশে উৎপাদিত ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে পচে যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হলে অস্থিরতাও থাকতো না, সংকটও তৈরি হতো না।
মধ্যম চাক্তাইয়ের পেঁয়াজ-রসুনের আড়তদার ব্যবসায়ী মেসার্স বশর অ্যান্ড সন্স’র স্বত্বাধিকারী আবুল বশর বলেন, ‘পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। একেক সময় একেক সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের লোকসানের মধ্যে পড়তে হয়। মূলত ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার খবরে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।