1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বনাম বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস

নিউজ এডিটর : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩

বাজার-হাট, অফিস-আদালত, মুদি দোকান-শপিংমল অর্থাৎ সর্বত্রই একটি প্রশ্ন কী হতে যাচ্ছে? আলোচনা হবে কি না। কী হবে শেষ পর্যন্ত? আসলে কিছু হবে কী হবে না এটা বলা যাচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন বা মন্তব্য করছেন, যথারীতি নির্বাচন হবে। দায়সারা গোছের জবাব দিতে গিয়ে মুখটি গুরুত্বহীন করে বলছেন, দেখেন কী হয়! দেখেন না? আন্দোলন করা এতো সহজ? ‘লিডারশিপ’ এতো সহজ জিনিস? ২৮ অক্টোবর দেখেছি তো আমরা! কেউ বলছে, সামাল দেওয়া মুশকিল। এসব কথা শুনছি সাধারণ মানুষের মুখে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে মেট্রোরেল আর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন দারুণভাবে মানুষকে উৎফুল্ল করেছে। এর আগের পদ্মা সেতু নির্মাণ এক ঐতিহাসিক কাজ শেখ হাসিনার। চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে বাস পোড়ানো হচ্ছে। বাসে হামলা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এসব কর্ম জনসাধারণকে বিরক্ত করছে। সরকার যেভাবে এগিয়ে চলছে এতে মনে হচ্ছে- অবরোধের কোনো প্রভাব থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে প্রস্তুতি এবং সরকারের প্রতি তাদের যে আনুগত্য, তাতে নির্বাচনের দিনও বড় কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কম। তবে একটি শঙ্কা মানুষের মধ্যে থেকে যাচ্ছে যে, সংকট উত্তরণে সবার দায়িত্ব রয়েছে। এ কারণেই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনা-সমঝোতার কথা বলা হচ্ছে। এখন তো পরিষ্কার আওয়ামী লীগ আর এতোটুকু ছাড় দেবে না।

সরকারের পদত্যাগ, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে বিএনপির আন্দোলন আদৌ কি কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবে- এ প্রশ্ন এখন অনেকেরই। লাগাতার অবরোধ, লাগাতার হরতাল সমস্যাকে জটিল করে তুলছে। আগামী নির্বাচন রুখে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপি মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা বলে চলেছেন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলটি জাতীয় নির্বাচনে যাবে না। অবশ্য এ হুঙ্কার এদেশের জনগণ বহুবার শুনেছে। তবে এতে জনগণের খুবই ক্ষতি হয়েছে, আন্দোলনের নামে যা হয়েছে এটাকে কী বলা উচিত? বিএনপি নেতৃত্বাধীন যারা অতীতে এমন হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনের বিরোধিতা করেছিল তাদের পরিণতিও জনগণ দেখেছে। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপনসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘিরেই এখন সব প্রস্তুতি দলটির। তফশিল ঠেকাতে করণীয় ঠিক করতে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছে হাইকমান্ড। কিন্তু পুলিশ সেই সুযোগ দেবে বলে মনে হয় না। কিন্তু খবর পাওয়া যাচ্ছে, কোনো কোনো উপজেলা-ইউনিয়ন এলাকায় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা ঘোরাফেরা করছে। একশ্রেণির আওয়ামী লীগ নেতা সেই সুযোগে নানারকম ধান্দাবাজি করছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে। আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানালেন, বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী অন্যায়কারীদের এক বিন্দু ছাড় দেবে না।

সারাদেশের পুলিশ সিরিয়াস। পুলিশের এসবি, ডিবি, র‌্যাব এখন সিরিয়াস। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পুলিশও সিরিয়াস। জনগণ দেখতে পাচ্ছে- সন্ত্রাস সৃষ্টি করে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পারবে না বিএনপি-জামায়াতসহ ইসলামপন্থী সমমমনা দলগুলো। শোনা যায়, যেদিন তফশিল ঘোষণা করা হবে তার আগের কয়েকদিন দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে। এটা মূলত জনগণের সঙ্গে স্বভাব সুলভ প্রহসন করা হবে। আন্দোলনের নামে প্রহসন করা। রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। যা মঙ্গলবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত চলবে এরপর নাকি একদিন বাদ দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি। বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি দেওয়ার পর সাধারণ জনগণের প্রত্যাশার উল্টোটা হবে।

বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তবে কোনো অগ্নিসন্ত্রাস সহ্য করা হবে না বলছে আওয়ামী লীগ। আর প্রতিদিনই মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আসলেই বিএনপির সন্ত্রাস তীব্র গণবিরোধী করে তুলছে এই দলটিকে। শেষ পর্যন্ত তারা আন্দোলনের নামে নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা করেছে, অর্ধশত সাংবাদিক নির্যাতন করেছে, পিটিয়েছে। বহুবার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত মনে করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তারা যদি অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা এবং আবার কাউকে পুড়িয়ে মারার পথ অবলম্বন করে, আমরা তাদের রেহাই দেব না।’

অতীতে ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তখন তারা ৫০০টিরও বেশি স্কুল, ৩, হাজার ৮০০টি যানবাহন, লঞ্চ, ৭০টি ট্রেন এবং ৩,৫০০ মানুষকে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে যারা দগ্ধ হয়েছেন তাদের তথ্য কি কেউ রাখে? তবে আমরা কাউকে মানুষের ক্ষতি করতে দেব না।’ আসলে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে বসে একটি রাজনৈতিক দল চালানো কঠিন। বাস্তবতা অনেক কঠিন। দূরে বসে মুখেমুখে নানারকম হিসাব-নিকাশ করা যায়। কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হলেই বোঝা সম্ভব হয়, কাগজ-কলমবিহীন পরীক্ষার্থীর দাঁত খোঁচানো সার। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, গ্রেনেড- বোমা নিক্ষেপ, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও চায় না জনগণ, শান্তি চায়।

লেখক : দীপক চৌধুরী – সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক ও ফিল্মমেকার


সর্বশেষ - রাজনীতি