1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

আবারও আর্থিক খাতের বড় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের সংকেত দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির দেওয়া ৩৮টি শর্তের মধ্যে যেগুলো প্রতিপালনে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ সেগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয় নির্বাচনের পর আর্থিক খাতের অবকাঠামোতে বড় ধরনের সংস্কারও আনা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ও রিজার্ভ বাড়াতে এবং নতুন পদ্ধতিতে রিজার্ভ গণনার ব্যাপারে কোনো রকম শিথিলতা দেখাবে না এমন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থবিভাগ ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। অর্থবিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আইএমএফের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর সংস্থাটির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের বিষয়টি অনুমোদন পেলে পরদিন অর্থছাড় করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

আইএমএফের সঙ্গে চলমান ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। এই ঋণের ক্ষেত্রে সংস্থাটির দেওয়া নানা ধরনের সংস্কার এবং শর্তের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হয়েছে সংস্থাটি। সর্বশেষ আইএমএফের টিম বাংলাদেশে সফরে এমন ইঙ্গিত মিলেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ই-মেইল বার্তায়ও আইএমএফের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। এতে সংস্থাটি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের সবুজসংকেত দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, রিজার্ভ কমে যাওয়া, বিনিময় হারে ধস নামায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আইএমএফও এসব বিষয়ে সংস্কার করতে বলেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে এসব সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই মূল্যস্ফীতি, বিনিময় হারসহ নানাবিধ সংস্কার নির্বাচনের পরে জোরেশোরে করতে হবে। অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এসব খাতে সংস্কার আনা হবে। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, আইএমএফ দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে গত অক্টোবরে এ দেশের অর্থনীতির সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে। তখন একাধিক দফায় এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। সে সময় শর্তগুলো পরিপালনের অগ্রগতির বিষয়ে পর্যালোচনা করে। তবে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ ও ডলার সংকট নিরসনে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। যার ফলে দ্বিতীর কিস্তি ছাড়ের ব্যাপারে এক ধরনের অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের পক্ষ দেনদরবার করে আর্থিক খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতিতে নমনীয় হয় আইএমএফ। সরকারের পক্ষ থেকে আইএমএফের দলকে শর্ত পূরণ করতে না পারার কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে বলা হয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে যেহেতু বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ফলে এ সময়ের মধ্যে লক্ষ্যগুলো অর্জন করার বাস্তবতা নেই। এ জন্য এর সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত নতুন লক্ষ্যমাত্রা চাইলে আইএমএফ তাতে সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৭০ কোটি ডলার দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার কথা রয়েছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা। আইএমএফের ঋণ নিতে ছোট-বড় ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। শর্তগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যদিও সরকার সংস্থাটির দেওয়া শর্তগুলো ঠিকঠাক পালন করতে পারেনি। তবে আইএমএফের সঙ্গে ন্যাগোসিয়েশনটা ঠিকঠাক করতে পেরেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো-আমাদের ডলার সংকটটা অনেক বড় আর যা পাব তা তো খুবই ছোট অঙ্ক। সংকট নিরসনে এটা খুব একটা কাজে আসবে না বলে তিনি মনে করেন।


সর্বশেষ - রাজনীতি