1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সাধারণের আস্থায় শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

সম্প্রতি সফলভাবে শেষ হয়েছে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগাঠনিক পর্যায়ে নতুন নেতৃত্বের আগমন ঘটেনি সত্য তবে নতুন একটি উদ্দীপনা যে সৃষ্টি হয়েছে তা আমরা মনে করি। এই উদ্দীপনার অন্যতম প্রেরণা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সুসংগঠিত হওয়ার আকাংখা। দলের তৃণমূল থেকে আরম্ভ করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে বিগত ২৪ ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনে। কর্মীদের নিরঙ্কুশ চাহিদায় ১০ম বারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এশিয়া মহাদেশ তো বটেই সমগ্র বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিরল যিনি শেখ হাসিনার মতো দীর্ঘ সময় কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রায় ৪২ বছর একটানা আওয়ামী লীগের মতো অনন্য একটি বিখ্যাত রাজনৈতিক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি! বিশ্ব রাজনীতির নানা উত্থান-পতন ও পথ-পরিক্রমায় এমন অভাবিত সাফল্য শুধু শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। আমরাও দেখেছি বৈশ্বিক রাজনৈতিক বিচিত্র সব চ্যালেঞ্জ ও নিত্যনতুন সঙ্কট মোকাবিলায় জননেত্রীর বহুবিধ সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুধা নিবারণে রেখেছে অনন্য ভূমিকা। তাই বিশ্বের অনন্য নেত্রী তিনি- বিশ্বনেতার অনবদ্য মর্যাদাও তার ঝুলিতে সঞ্চিত হয়েছে। বিগত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে নতুন করে আবারো পরবর্তী ৩ বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। আর যেসব কাউন্সিলর তাকে এই পদে পুনর্বার নির্বাচিত করেছেন স্ব-স্ব দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। তাদের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নবতর শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে আরো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাক। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।

আমরা দেখেছি নানা রকমের চরাই-উৎরাই পেরিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নবযৌবনের দ্যোতনা নিয়ে এদেশের আপামর বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় এক সংগঠনে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ৭৪ বছরের। কিন্তু ৭৪ বছরের সবগুলো দিন, সবগুলো বছর আওয়ামী লীগের অনুকূল ছিল না- দলটির সামগ্রিক ইতিহাস একেবারে নিষ্কণ্টক ছিল না। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দলটিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার প্রকল্প গ্রহণ করেছিল একটি বিশেষ গোষ্ঠী। হত্যাকারীদেরই সমর্থনপুষ্ট হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বিএনপি বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসেরও প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। আমরা দেখেছি ইতিহাসের নির্মম নিয়তি! নিয়তির সেই ঘোর তামসকালে ভারতে নির্বাসিত জীবনে ১৯৮০ সালে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তিনি প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দল পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়ে বিগত চার দশকের বেশি সময় ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে অধিকতর সৃজনশীল, দক্ষ এবং সুসংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করে তুলেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার গভীর প্রজ্ঞায় শুধু এশিয়া মহাদেশই নয় নেতা, কর্মী ও সমর্থক সংখ্যায় সমগ্র বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের বহিরাঙ্গিক এবং অন্তরাঙ্গিকের ব্যাপক পরিবর্তন করেছে। বহুবিধ উন্নয়ন সাধনের ক্ষেত্রে বিগত চৌদ্দ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামল স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১ বছরের অন্য যে কোনো সময়ের টানা চৌদ্দ বছরের তুলনায় অনন্য। একজন নারী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংগাঠনিকভাবে আওয়ামী লীগও নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে। যে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা রাষ্ট্রীয় কাজে পিতার নামের পাশে মাতার নাম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নির্দেশেই কর্মজীবী নারীর মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে ছয় মাসে উন্নীত করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে এ ছুটি এক বছরে বর্ধিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। সমাজের দরিদ্র বয়স্কদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির স্বার্থে বয়স্ক ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রবর্তন করেছে প্রতিবন্ধী ভাতা। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে দুপুরে খাবার দেওয়ার প্রকল্পটিও ইতিবাচক পদক্ষেপ।

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ দৃষ্টিনন্দন বাড়ি প্রদান কর্মসূচিও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও মানবিক সৃজনশীলতার পরিচয় তুলে ধরে। মানবিক কল্যাণমূলক কাজের পাশাপশি ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধীদেরকে শাস্তির আওতায় এনেছে। বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং জেল হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ জাতিকে কলংকমুক্তির পথে কয়েক ধাপ অগ্রসর করেছে। এসব কর্মকাণ্ড জাতি হিসেবে আমাদেরকে অন্তর্গতভাবে প্রত্যয়ী করে তোলে।
রাষ্ট্রের বহিরাঙ্গিক অবকাঠামোর মধ্যে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের বাস্তবায়ন বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। বাংলাদেশের চেহারায় একেবারেই নতুন অবয়ব সংযুক্ত করেছে কর্ণফুলি টানেল। এছাড়াও সারা দেশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রও বর্তমানে নজিরবিহীন উন্নয়নের স্পর্শে উজ্জ্বল। একদিনে শত সেতু এবং শত সড়কের উদ্বোধন একদিকে যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থার সমৃদ্ধিকে তুলে ধরে অন্যদিকে তেমনি জাতি হিসেবে আমাদের সক্ষমতাও প্রকাশ করে। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার এই যে উৎসাহী অভিযাত্রা তার স্বপ্নদ্রষ্টা এককভাবেই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অক্লান্ত স্থপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরিকল্পনা মতো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থানের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আজ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নচিত্রকেই বদলে দিতে যাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি, বিগত কয়েক বছর অব্যাহতভাবে মাথাপিছু আয় এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নিজের অবস্থান সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে।

করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মহা সঙ্কটেও বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের অবস্থান টালমাটাল হয়নি, বরং শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমপর্যায়ের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্থির ও অটল আছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকারের সৃজনশীল নানারূপ প্রকল্প বিশ্ব সম্প্রদায়ের ইতিবাচক দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার রোল মডেল হিসেবেই পরিচিত। বাংলাদেশের রেমিটেন্স এবং রিজার্ভ এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু একটি চিহ্নিত মহল রেমিটেন্স ও রিজার্ভ নিয়ে মাঝেমধ্যেই গুজব ছড়ানোর অপপ্রয়াসে লিপ্ত। শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করে তারা বিভিন্ন সময় সাধারণের মনস্তাত্ত্বিক জগতে সরকার বিরোধী হাওয়া লাগাতেই বেশি ব্যস্ত থাকে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে কেবল রাজনীতিবিদেরাই সম্পৃক্ত তা নয়- বিভিন্ন গোষ্ঠী ও বলয়ের এবং জাতীয়ভাবে প্রত্যাখ্যাত অনেকেই সম্পৃক্ত। আমরা লক্ষ করছি যে, যখন এই ষড়যন্ত্রী মহলটি বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা ‘বানাতে’ ব্যর্থ হয়েছে তখন তারা ভিন্ন পথে হাঁটতে শুরু করেছে। মানবাধিকার ইস্যুকে সামনে এনে দেশে বিদেশে সেই একই চিহ্নিত মহল ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের জাল বিস্ততারই অব্যাহত রেখেছে।

সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরাই ধন্যবাদ পাওয়ার দাবিদার। সম্মেলনের মাধ্যমে সৃষ্ট সংহতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যে এই সুসংহত ঐক্যই বেশি প্রয়োজন। দলীয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহলের সুচিন্তিত ভাবনার যে প্রতিফলন আমরা এই সম্মেলনে দেখেছি তা নির্বাচনকালেও অটুট রাখতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দলীয় সম্মেলন কেন্দ্র করে দলের ভেতর নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করাও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞার পরিচায়ক বলে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন। সম্মেলনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন- তা হলো বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তাদের ওপর থেকে দলীয় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার। আমরা আশা করবো, দলের অভিজ্ঞ এসব নেতা ও কর্মীগণ পুনরায় দলের সাংগাঠনিক শক্তি ও ঐক্যকে মজবুত করবেন। ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল যেভাবে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ তথা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর ঐক্যর কোনো বিকল্প নেই। সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে এখন দেশি-বিদেশি অপতৎপরতাও সক্রিয়। কাজেই শুধু ঐক্যবদ্ধই নয়- আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা ও কর্মীকে আগামী দিনগুলোতে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। চোখ কান খোলা রাখতে হবে। পথ চলার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে বিচিত্র সব ষড়যন্ত্রের জাল! বুঝতে হবে একবার পরাজিত হলেই সমূহ বিপদ। সমূহ বিপদ শুধু আওয়ামী লীগের কর্মীদেরই নয়- বিপদ ঘটবে এই হতভাগ্য জাতির ভাগ্যেও!

জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর দলীয় নেতাকর্র্মীদের আস্থার যে পরিচয় পাওয়া গেছে তার কোনো তুলনা হয় না। রাষ্ট্র সুরক্ষা ও উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই- এ এক পরীক্ষিত সত্য। বিগত চৌদ্দ বছরের আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাষ্ট্রের নানা ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেজন্য দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত হয়েছে। এদেশের সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় বড় বক্তৃতা ভাষণ শুনেই অভ্যস্থ ছিল- কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে তারা বক্তৃতা-ভাষণের বিপরীতে বাস্তবের উন্নয়ন-উন্নতি দেখেছে! শেখ হাসিনার আমলে এদেশের মানুষ প্রমত্তা পদ্মার ওপর দিয়ে সেতুর মাধ্যমে এপার-ওপার করছে! কর্ণফুলি নদীর নীচ দিয়ে এপার-ওপার করছে! নাগরিক যানজটের বিরক্তি এড়িয়ে রাজধানীর মানুষ উড়াল ট্রেনে চলতে শুরু করেছে শহরের এপার থেকে ওপার! শেখ হাসিনার সময় সব স্বপ্নই বাস্তবে দৃশ্যমান। শেখ হাসিনার শাসনামলে কেবল প্রতিশ্রুতির ‘খোয়াব’ নয়, বাস্তবের দৃশ্যমান ‘রূপায়ণ’- উন্নয়ন! তাই জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণের অনন্য আস্থা ও ভরসার জায়গা। এদেশের সাধারণ মানুষও গভীরভাবে উপলীব্ধ করে যে, ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো কৌশলের ফাঁদে পা পড়লেই সব প্রত্যাশাই ভূলুণ্ঠিত হবে। সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সাধারণের কাছে যেমন গ্রহণীয় আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মরাও অনুরূপ আস্থায় সাধারণের কাছে গ্রহণীয় হবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমাদের প্রত্যাশা সাধারণের মন জয়ের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের’ গন্তব্যে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অংশীদার হোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মানবিক, প্রগতিশীল, আধুনিক ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম আওয়ামী লীগ কখনোই পশ্চাদপদ চিন্তায় গা ভাসাবে না। সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারকগণ এরূপ নেতিবাচক চিন্তা উস্কে-দেওয়া দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সাংগাঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন। আমরা জানি, জননেত্রী শেখ হাসিনার অবিচলিত প্রজ্ঞায় আওয়ামী লীগ তার আদর্শ ও ঐতিহ্যিক দক্ষতায় সকল সংকট লাঘবের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যে তথা ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - রাজনীতি