1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

২৯৭ টন মধুর আশা দেখেছেন সিরাজগঞ্জের কৃষি বিভাগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেতে সারি সারি মৌ-বাক্স। হলুদ ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজারও মৌমাছি। এমনই দৃশ্য দেখা গেছে সিরাজগঞ্জে। জেলায় ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টর শষ্যক্ষেতে ২৯৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এসব মৌ-বাক্স বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। জেলার ১০১ জন কৃষক মৌ-বাক্সগুলো বসিয়েছেন।

প্রতি মৌসুমেই সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেন এসব মৌ-চাষিরা। এরই মধ্যে ১৬ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ লাভজনক হওয়ায় চাষিদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রাকৃতিক এই মধু সংগ্রহ করে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছেন মৌ-চাষি ও কৃষকরা। সরিষার মধু স্বাদে অনন্য বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে দেখা যায়, মধু আহরণকারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ বাক্স থেকে মধু বের করছেন, আবার কেউ কেউ বাক্স ঠিক করে দিচ্ছেন। কেউবা ড্রামে মধু ভরছেন। এর মধ্যে ক্রেতারা এসে মধু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি মধু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা।

দিনাজপুর থেকে আসা মধু ব্যবসায়ী ইয়াসিন সেখ জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও চাঁদপুর গ্রামে ১০০টি মৌ-বাক্স স্থাপন করেছেন। এক সপ্তাহ পর পর মধু আহরণ করা হয়। ১০-১২ জন পালা করে নিয়মিত এ কাজ করেন।

ইয়াসিনের সহযোগী মৌচাষি আশরাফ সরকার বলেন, মৌমাছিদের সঙ্গে থাকতে থাকতে কাজটি অনেক সহজ হয়ে গেছে। এবার সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় মধু আহরণ ভালো হবে বলে আশা করছি।

শুধু জেলার উপজেলা রায়গঞ্জ নয়; সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ, কাজীপুর, বেলকুচি, কামারখন্দ ও চৌহালীর বিস্তীর্ণ মাঠ থেকে সরিষা ফুলের মধু আহরণ চলছে পুরোদমে।

চাঁদপুর গ্রামের কৃষক দেদার আলী জানান, এখন সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণ চলছে। মধু আহরণের জন্য স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নাটোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মৌখামারিরা আস্তানা গেড়েছেন সিরাজগঞ্জে।

মৌচাষি আব্বাস আলী বলেন, এবার সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছি।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমি আবাদ যোগ্য। এর মধ্যে এবার ৬৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার হেক্টর। চাষ করা সরিষার মধ্যে রয়েছে বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭ ও টোরি-৭। যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ শস্যভান্ডার খ্যাত জেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে উল্লাপাড়ায়। কম চাষ হয়েছে কাজীপুরে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতে এ বছর ১০১ জন মৌ-বাক্স স্থাপন করেছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ২৯৭ মেট্রিক টন মধু আহরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কামারখন্দ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাহসীন তাবাসসুম জানান, মধু সংগ্রহ লাভজনক হওয়ায় দিনদিন এ উপজেলায় সরিষার পাশাপাশি মৌচাষিদের সংখ্যা বাড়ছে। সরিষার মাঠে মৌচাষে কৃষক ও মৌচাষি উভয়ই সমানভাবে লাভবান হন। কারণ সরিষা ফুলে মৌমাছি বসে এর পরাগায়ন ঘটায়। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, জেলায় এ মৌসুমে সরিষা ফুল থেকে ২৯৭ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে আশা করি।


সর্বশেষ - রাজনীতি