1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মুরাদের চেয়েও মারাত্মক অপরাধী কারা?

ইবার্তা সম্পাদনা পর্ষদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১

নারীর প্রতি অবমাননা, কটূক্তি, অশালীন মন্তব্য ইত্যাদি কারণে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যে নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং কুৎসিত নোংরা রাজনীতিকে লালন করেন না, এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। মুরাদের অশালীন কাণ্ড কখনোই সমর্থন যোগ্য নয়। এরকম অশালীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক নেতার করা উচিত না। মুরাদ যে কথাগুলো বলেছে, সে কথাগুলো গর্হিত, নীতিবিবর্জিত এবং অরুচিকর। কিন্তু আমরা দেখি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেন থেকে তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং অন্যান্যদের সম্বন্ধে অরুচিকর, কুৎসিত, নোংরা মন্তব্য করা হয়।

আমরা দেখলাম মুরাদের বক্তব্যের পর ৪০ জন নারীবাদী নেতা মুরাদের বক্তব্যের সমালোচনা করলেন। সুশীল সমাজ মুরাদের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানালেন এবং আপত্তিকর বক্তব্যকে তারা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করলেন। তাদের এ পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি যে সুশীল সমাজ সবসময় এ ধরণের সংকটে, এ ধরণের পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। পথ দেখাবেন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, বিএনপির একাধিক নেতা একাধিকবার নারীদের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন। আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। কুৎসিতভাবে বিরোধী নারী নেত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে জঘন্য ভাষায় গর্হিত, নীতিবিবর্জিত এবং অরুচিকর মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অথবা কথিত নতুন প্রজন্মের নেতা ইশরাক হোসেন কিংবা লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালিকদের নোংরা মন্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। কুৎসিত, নোংরা মন্তব্য করতে বিএনপির নারী নেত্রীদেরও জুড়ি নেই। সাবেক বিএনপি সাংসদ আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আখতার, সাংসদ রুমিন ফারহানা সংসদে দাঁড়িয়ে শিষ্টাচার বর্জিত যেসব কুৎসিত মন্তব্য করেছেন, তা কোনো সভ্য মানুষের শুনতে ও বলতে রুচিতে বাজবে। শুধুমাত্র তাদের রাজনীতি করে না বলে বিরোধী রাজনৈতিকদের প্রতি এমন সব ভাষা ব্যাবহার করেছেন, তা কোনো ভদ্রলোকের সন্তানের হাত দিয়ে লেখাও সম্ভব না। বিএনপি নেতাদের এসব উদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ নিয়ে একটি বিবৃতিও দেয়নি সুশীল সমাজ কিংবা নারীবাদী নেতারা। পাশাপাশি যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা সুইডেন থেকে কুৎসিত, নোংরা, আপত্তিকর কথা বলে, তখন সুশীল সমাজ কোথায় থাকেন?

আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই দেখি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নানা আপত্তিকর মন্তব্য, বঙ্গবন্ধু পরিবার সম্পর্কে কুৎসিত, নোংরা মন্তব্য করা হচ্ছে। এই সমস্ত ব্যাপারে আমাদের সুশীল সমাজ নীরব কেন? তাহলে কি সুশীল সমাজের কোনো পক্ষ আছে? আমরা খুশি হবো নারীবাদীরা যেভাবে মুরাদের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, ঠিক একইভাবে এই সমস্ত গর্হিত, নীতিবিবর্জিত এবং অরুচিকর মন্তব্যগুলোর ব্যাপারেও তারা সোচ্চার হবেন এবং এগুলোকে বয়কট করবেন। এ ধরণের কুৎসিত মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক দলের ভাষা না।

আমরা জানি, তারেক জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় এই সমস্ত নোংরা অপপ্রচারগুলো হচ্ছে। এমনকি মুরাদের এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং বিভিন্ন জায়গায় যেসমস্ত বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, সে সমস্ত বক্তব্যগুলো কতটুকু গ্রহণযোগ্য? এসব বক্তব্যেও নারীদের যে অবমাননা করা হচ্ছে, তার প্রতিকার কে করবে? তাহলে কি শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কর্মী যখন নারীর প্রতি অসম্মান জনক বক্তব্য রাখলে সেটিই অপরাধ আর বিএনপির কেউ যদি নোংরা, আপত্তিকর বক্তব্য রাখে সেটি অপরাধ নয়?


সর্বশেষ - রাজনীতি