রাজনৈতিক দল হিসাবে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ নির্বাচনই ক্ষমতা পরিবর্তনের হাতিয়ার। সবাই ক্ষমতায় যেতে চায়। কেউ যায় দেশ গড়তে, কেউ যায় ক্ষমতা উপভোগ করতে। ক্ষমতা মুখ্য বলেই চরম ডান এবং চরম বামপন্থীরা আজ মিলেমিশে একাকার। জামায়াতের সাথে মিশে গেছে জুনায়েদ সাকিদের মতো চরম বামপন্থীরাও। লক্ষ্য একটাই, ক্ষমতার মোহ।
নির্বাচন নেতাকর্মীদের মধ্য এই মোহ তৈরি করে, তাদের উজ্জেবিত করে। বিএনপি প্রথম ভুল করেছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচনে না এসে। দ্বিতীয় ভুল করেছিল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের দশদিন আগেই নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে দিয়ে। চরম ভুলটা করলো এইবার নির্বাচনে না এসে। এই রাজনৈতিক ভুলের খেসারত তাদেরই দিতে হবে।
তারেক রহমান এই খেসারত দেবেন না। কারণ তিনি দেশেই কখনো আসবেন না। শেখ হাসিনার সরকার আগামী নির্বাচনও করবে, ক্ষমতায়ও আসবে, পাঁচবছর ক্ষমতায়ও থাকবে। বিনা যুদ্ধে, আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আসার পথ সহজ করে দেওয়া শক্তিটির নাম ‘বিএনপি’।
লেখক : আশরাফুল আলম খোকন – যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী
