1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

আলেমরা জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলেন না কেন, প্রশ্ন তুললেন আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২

কোনো এক অজানা কারণে বাংলাদেশের আলেম সমাজ ও ইসলামি চিন্তাবিদরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করেন না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।

রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে রোববার পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ইসলামের দৃষ্টিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ‘আমাদের ইসলামি চিন্তাবিদ, মাওলানা, শায়খ যারা আছেন তারা টেররিজমের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলেন না। গ্রামাঞ্চলে শীতকালে যখন ওয়াজ মাহফিল হয়, তারা সেখানে অনেক ধর্মীয় কথাবার্তা বলেন, মানুষকে ধর্মীয় অ্যাডভাইজ করেন, ভালো পথে চলার কথা বলেন, ইহকাল-পরকাল নিয়ে বলেন। আরেক গ্রুপ আছে যারা রাজনীতি করেন, তারা ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় কথা বলেন, পাশাপাশি পলিটিকসও করেন। কিন্তু এই টেররিজমের বিরুদ্ধে কোনো কথা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামকে ব্যবহার করে নিরীহ মানুষকে গণহত্যা করা হয়, এ বিষয় নিয়ে তাদের কথা বলতে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায় না। এই কারণ আমার অজানা। বিশ্বব্যাপী ইসলামকে জঙ্গি মতবাদ আখ্যা দিয়ে বিরাট অপপ্রচার রয়েছে-যে এই ধর্মটাই হচ্ছে জঙ্গি। এমন বাস্তবতায় আমাদের ইসলামি চিন্তাবিদদের এ নিয়ে কথা বলতে হবে। আলেমরা কেন এ নিয়ে কোনো কথা বলেন না এটা আমার প্রশ্ন!’

ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘ইসলামি গবেষকরা কোরআনের ১৬৪টি আয়াতকে আলাদা করেছেন, যেখানে জিহাদের কথা বলা হয়েছে। আর এই ১৬৪ আয়াতকেই ব্যবহার করে আইএস, আইসিস, আল-কায়েদাসহ সকল জঙ্গি সম্প্রদায় মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করে যাচ্ছে।

‘জিহাদ নিয়ে ১৬৪ আয়াতের তর্জমাসহ সঠিক ব্যাখ্যা করে সাধারণদের জিহাদ আর জঙ্গিবাদের পার্থক্য বুঝিয়ে দেবার দায়িত্ব ইসলামিক স্কলারদের, পুলিশ বা অন্য কারও নয়।’

ইসলামিক চিন্তাবিদরা চুপ থাকায় ইসলামের দিকনির্দেশনা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে উল্লেখ করেন আইজপি। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল আমাদের ইসলাম সম্পর্কে জানতে হলে মাওলানা বা পরিবারের মুরব্বিদের ওপর নির্ভর করতে হতো, কারণ তখন ইসলাম নিয়ে খুব একটা বইও ছিল না। যে কয়টা পাওয়া যেত তাও ছিল আরবি অথবা ফারসি ভাষায়। কিন্তু স্বাধীনতার পর অনেক বই বাজারে এসেছে, পাশাপাশি ইউটিউবে এখন অনেক ইসলামি কনটেন্ট পাওয়া যায়।

‘কিন্তু এখানেও একটি সমস্যা তৈরি হলো যে আমরা যুগ যুগ ধরে কোনো একটি বিষয়ে ইসলামের অনুশাসন হিসেবে যেসব নিয়ম পালন করে আসছি, আজকে ইউটিউবে একজন স্কলার বলছেন এটা ভুল, তিনি আবার অন্য নিয়মের কথা বলছেন। তাহলে আমরা এতদিন যে নিয়ম মেনে এসেছি সেটা ভুল- এর দায় কে নেবেন?’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘এর মূল কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো মডারেটর নেই, ইসলামি স্কলারদের মধ্য থেকে কেউ বলার নেই যে আপনি ভুল কথা বলছেন।’

তাই ইসলাম ও দেশের স্বার্থে ইসলামিক চিন্তাবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আইজিপি।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

বাংলাদেশকে যে ‘অর্থনৈতিক ভবিষ্যদ্বাণী মডেল’ দিচ্ছে আইএমএফ!

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উন্নয়ন-উৎপাদনের প্রস্তাব ভারতের

অভিবাসনের আশায় সাগরপথে যুক্তরাজ্যে এক বছরে ঢুকেছেন প্রায় ৪৬ হাজার জন

দুর্ধর্ষ ‘টেনশন গ্রুপ’র লিডারসহ গ্রেফতার ৭

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ৭ জন ট্রান্সজেন্ডার

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান

‘ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব’

প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মধুমতি সেতুতে টোল আদায় চার লাখ টাকা

ফসওয়াল কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার হস্তান্তর

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মূল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ