দীর্ঘ ১৯ বছর পর মেয়েদের হাত ধরেই দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সংবর্ধনা আগেই পেয়েছিল সাবিনা খাতুন-মারিয়া মান্ডারা। এবার তাদেরকে সংবর্ধনা দেবেন ক্রীড়ামোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বুধবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তাদের অর্থ পুরস্কারও দেওয়া হবে।
সাবিনাদের শিরোপা জয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উৎসবের আমেজ নেমে এসেছিল। এয়ারপোর্ট থেকে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ছাড়াও দেশের সাধারণ মানুষও তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করেছিল।
তবে সেই সময় রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই মেয়েদের এই অর্জনেও সংবর্ধনা দিতে পারেননি তিনি। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে এসেছে। ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ মিলবে সাবিনাদের। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাফজয়ী ২৩ ফুটবলারসহ টিম ম্যানেজমেন্টকে দেবেন অর্থ পুরস্কারও।
এর আগে সাফ জয় করে সাবিনারা দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সবার ঘরের অবস্থা পরিদর্শন করে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাদের ঘরের অবস্থা ভালো নয়, যাদের ঘর দরকার, তাদের নতুন ঘর বানিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে ফিরে ফুটবলারদের অর্থ পুরস্কারও দেবেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভারতকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউট পর্বে কোয়ালিফাই করেছিল সাবিনা খাতুনের দল। সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। ফাইনাল ম্যাচে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মেয়েরা।
নারীদের দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের দরুণ সুখবর দেয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাও। র্যাংকিংয়ে ১৪৭তম স্থান থেকে একলাফে ১৪০তম অবস্থানে উঠে আসে সাবিনা-সানজিদারা।