কেউ যখন আবাহনী-মোহামেডানে খেলে, তারা বলার সময় ক্লাবকে আমার ক্লাবই বলে, ক্লাবের পরিচালক- মালিকদের নাম বলে না। এটা বুঝার জন্য ডক্টরেট করার দরকার নাই।
মায়ের জন্মদিনে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জেনিয়ার একটি গলফ ক্লাবের ডিনারের ছবি দিয়ে, ক্যাপশনে “মাই গলফ ক্লাব” লিখেছেন। কারণ তিনি সেখানে গলফ খেলেন। মূর্খগুলো ক্লাবের মালিকানা নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে।
অপপ্রচার তারা আরো আগে থেকেই করছে, সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্র ঢুকতে দিচ্ছে না,বের করে দিয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু এইবারের অপপ্রচারের সুযোগটা আমরা তাদেরকে করে দিয়েছি। ঐ ছবি দিয়ে আমাদের প্রমান করতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিলোনা যে সজীব ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। জয় ভাই এটা প্রমান করার জন্য এই ছবি পোষ্টও করেননি।
সজীব ওয়াজেদ কে যুক্তরাষ্ট্র ঢুকতে দিচ্ছেনা, সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে- এটা কি বিএনপি জামাত কোনো তথ্য প্রমান দিয়ে প্রচার করেছে ? তাহলে, পারিবারিক এই ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা আমাদের কেন দিতে হবে যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন।
অপপ্রচারের ক্ষেত্রে আপনি যতই ব্যাখ্যা দিবেন, ততই তারা অপপ্রচারের অন্য ডালপালা বের করবে। এক্ষেত্রেও তাই করেছে। জয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০১০- ২০১৩ সালেই অনেক অপপ্রচার হয়েছে। মধ্যে ৭/৮ বছর তা বন্ধ ছিল।
প্রচারের সহজ নিয়ম হচ্ছে ডিসেন্সিভ না হয়ে, এটাকিং হওয়া। প্রতিপক্ষকে সবসময় ব্যতিব্যস্ত রাখা। তারা ব্যাখ্যা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাবে, অন্যকে এটাক করার জন্য সুযোগ পাবেনা।
তারেক রহমান যে ২০০৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ, আমরা তাদেরকে এই প্রশ্নটা করিনা কেন ? আবারো বলছি প্রপাগান্ডা র ক্ষেত্রে কখনো ডিফেন্সিভ হওয়া যাবেনা।
লেখক : আশরাফুল আলম খোকন – যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী