1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

১০ ডিসেম্বর নিয়ে তর্জন-গর্জন : ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলাতে হবে

অধ্যাপক ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

আশা করা যায় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এমনই একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন নির্বাচনে দেশবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে বেছে নেবে পরবর্তী নেতৃত্ব। বিজয়ীরাই আগামী পাঁচটি বছর দেশের ‘ক্ষমতা লাভ’ কিংবা ‘দায়িত্বভার’ গ্রহণ করবেন। সবারই জানা যে, ক্ষমতা হলো ভোগের বস্তু আর দায়িত্ব হলো পালনের বিষয়। স্বাধীনতা লাভের পর বিগত ৫০ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামরিক শাসকেরা দেশের ক্ষমতা ভোগ করেছেন, কেউ কেউ আবার এই ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করে তা পালনেরও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ক্ষমতা ভোগ ও দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে দুটি আদর্শগত ভাগ-বিভাজন দেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত পরপরই টের পাওয়া গিয়েছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা লাভের শুরুতে মাত্র পৌনে তিন বছর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতালোভীরা দেশের অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। ক্ষমতালিপ্সু একটি রাজনৈতিক চক্রের যোগসাজশে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের শুধু রাজনীতিই বিপথগামী হয়নি, বাঙালির সহস্র বর্ষের সংস্কৃতিও বিপন্ন হয়ে পড়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের ভেতর পাকিস্তানি আদর্শ ও মনোভাব পোষণকারীদের একটি নিবিড় ঐক্য গড়ে ওঠে। বলার অপেক্ষা রাখে না, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে কেবল মাত্র তার ব্যক্তি স্বার্থ ও ক্ষমতা ভোগের লালসা থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেরণার বিপরীত স্রোতের তথা পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বনকারী স্বার্থান্বেষীদের সম্মিলিত এক রাজনৈতিক বলয় তৈরি হয়। এই রাজনৈতিক চক্রটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে যথার্থই ভোগের সামগ্রী বিবেচনা করেছিল। তাই দেখা যায় ক্ষমতাসীন হয়েই এই গোষ্ঠীটি মুক্তিযুদ্ধকালীন যে চারটি আদর্শকে বাঙালির মৌল অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল তা বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রাকে পশ্চাতের দিকে ঠেলে দেয়। পরাধীন পাকিস্তানি শাসনামলে পঞ্চাশ ও ষাট দশকে মধ্যবিত্ত বাঙালি মানসে যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছিল এই চক্রটি তা থেকে বিচ্যুত হয়ে বিকৃত এক পথের সন্ধান দিয়ে রাষ্ট্রকে নিজেদের এবং তাঁবেদারি অন্যান্য রাষ্ট্রের ভ্রান্ত আদর্শের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের গায়ে তারা চাপিয়ে দিয়েছিল মিথ্যার ভারি চাদর। মিথ্যা ইতিহাসের দীর্ঘ এক দায়ভার এদেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বহন করতে হয়। বলা বাহুল্য, এখনো সেই দায় মোচন সর্বোপরি সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভ্রান্ত ইতিহাস অপনয়নের প্রয়াস ছিল, এই প্রয়াসকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। ক্ষমতাভোগীদের মিথ্যা ও চাতুর্যের ইতিহাস এবং সামরিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শাসকগোষ্ঠী খুব সহজেই এদেশে স্বাধীনতা বিরোধী একটি শক্তিকে বিকশিত হয়ে ওঠার পথ সুগম করে দেয়। এই প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও বাঙালির জীবন ছিল সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিকভাবেই অন্ধকারাচ্ছন্ন। জাতীয় জীবনে এরচেয়ে বড় বিপর্যয় হাজার পরিক্রমায় বছরের বাঙালির ইতিহাসে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। বর্তমান সময় পর্যন্ত সেই বিপর্যয়ের প্রবল ধাক্কাই মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্ণিত বিপর্যয়ের এই নেতিবাচক প্রভাব আমাদেরকে ভবিষ্যতের কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে। বর্ণিত বিপর্যয়ের ফলেই বর্তমান বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির এক-একটি আদর্শিক লড়াই ক্রিয়াশীল আছে। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এ বড়ই কলঙ্কের, বড়ই অপমানের। কী পরিমাণ বেদনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ করতে হয় স্বাধীন একটি দেশে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিও রাজনীতির সুযোগ পায়! স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা দেখতে পারছি মীমাংসিত একটি বিষয়ের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তির এই পরস্পরবিরোধী অবস্থান। এটি সাধারণকে ব্যথিত না করে পারে না।

ক্ষমতাই রাজনীতিকদের কাছে মুখ্য, আদর্শ বলে কি কিছুই থাকতে নেই? সাধারণ মানুষের কাছে এরকমের কিছু ‘গোবেচারা’ ধরনের প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারে সর্বক্ষণ! দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো বিভিন্ন দলের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। কখনো দেখা যাচ্ছে নাম-সর্বস্ব দলও কথিত ঐক্যের ছাতার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে! ঐক্যের নামে ডান, বাম, মধ্য কোনো বিশেষ পন্থা অনুসৃত হচ্ছে না। সবার সব সব আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে কেবলমাত্র বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কিন্তু ক্ষমতা লাবের পর তাদের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন পরিকল্পনার কোনো রোডম্যাপ সাধারণের চোখে এখনো প্রতিভাত হয়নি। আমরা এখনো কোনো রূপকল্পও প্রত্যক্ষ করতে পারিনি। এদেশর সাধারণ মানুষ বেশি ব্যথিত বোধ করে তখন যখন দেখতে পায় প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ও প্রবক্তা বলে খ্যাতিমানরাও কথিত ঐক্যে নিজেদের যুক্ত করেন। এসব প্রগতিবাদীরা যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসীদের সঙ্গে, পাকিস্তানের সমর্থক গোষ্ঠীর সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন করে তখন তাদের ওপর আমাদের ভরসার জায়গাগুলো যারপরনাই সংকুচিত হয়ে যায়! সাধারণের ভরসার জায়গাগুলো আরো বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন যখন তারা ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’-এর কথা বলে নানা ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণে রাজনীতির মাঠ গরম করতে থাকেন!

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে যখন বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে জোট বাধেন তখন আমাদের চোখে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে গণতন্ত্রের করুণ চিত্রের কথা মনে পড়ে যায়। হাওয়া ভবন ও জাতীয় সংসদ ভবনের দ্বৈত শাসনের কথা আমাদের মন থেকে এখনো মুছে যায়নি। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’-এর কথা বলে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিটিং মিছিল ও সমাবেশ করায় বিএনপির অগণতান্ত্রিক অবয়বই প্রকাশিত হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্কটি এখনো সাধারণের কাছে পরিষ্কার হয়নি। উপরন্তু, দেশের মানুষ আশা করেছিল ২০১৪ সালের জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য, অগণতান্ত্রিক পন্থায় মানুষ হত্যার জন্য বিএনপি ক্ষমা চেয়ে রাজনীতির মাঠে আত্মপ্রকাশ করবে। জাতির প্রত্যাশা ছিল বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকেও মেনে নেবে। কিন্তু না, সেই পুরোনো প্রবাদই আমাদের কানের কাছে ঘুরেফিরে বাজছে ‘যাহা বায়ান্ন, তাহাই তেপ্পান্ন!’ অর্থাৎ আওয়ামী লীগের যত ভালো কাজই হোক বিএনপি তার বিপক্ষেই অবস্থান নিবে। চট্টগ্রামের সমাবেশে তা আরেক বার প্রমাণিত হলো।

আওয়ামী লীগ বিগত ১৪ বছর ধরে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছে। পরপর তিন মেয়াদে রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্র একটি দলের কাছে আছে। তাই সাধারণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে কিছু ব্যবধান থাকতে পারে, নিশ্চয়ই আছে। এই ব্যবধান থেকেই পরিবর্তনের পালে হাওয়া লাগানো কতটুকু যৌক্তিক তাও কিন্তু ভোটারদের বিবেচনার জন্য কিছুটা পশ্চাতেও তাকাতে হবে। অর্থাৎ ভোটারদের দেখতে হবে ইতোপূর্বেকার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে আওয়ামী লীগ কতটা তৎপর ছিল; নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার, পদ্মা সেতু নির্মাণ কিংবা বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নসহ নানা খাতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেছে কি না! নতুন প্রজন্মের কাছে ‘পরিবর্তন’ একটা আকর্ষণীয় বিষয়। কিন্তু নিরপেক্ষভাবে তরুণ প্রজন্মকে উপলব্ধি করতে হবে যে, অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকার তাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বেশি পরিমাণে বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বয়স্ক ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে এই বিবেচনাটি কাজ করবে বলে আশা করি। আশা করি এই বিবেচনাটি সামনে নিয়ে হিসেব করে দেখতেও। হিসেব করতে হবে পরিবর্তনের সম্ভাব্য পরিণতি ও ফলাফল নিয়েও। আমাদের সামনে এখনো এক বছরের কিছু বেশি সময় রয়েছে। এই দীর্ঘ সময় পরিবর্তনের পরিণতি ও ফলাফল নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।
পরপর কয়েকটি জনসভায় বিএনপির লোকসমাগম আমরা দেখেছি। এই সমাবেশগুলো যে একেবারেই ব্যর্থ তা বলা যাবে না। তবে তুলনা করলে এসব সমাবেশের চেয়ে দীর্ঘদিন সরকারে থাকার পরও আওয়ামী লীগের জনসভায়ও এমনই লোকসমাগম ঘটে। এই সমাবেশের লব্ধ সাফল্যে রাজপথে রাজনীতির উদ্যম কিছুটা হলেও বিএনপির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এটা গণতন্ত্রের জন্য আশার কথা। তবে, বিএনপিকে অবশ্যই ‘বাঁশের লাঠি’র তর্জন-গর্জন এবং ‘১০ ডিসেম্বর’-এর হুংকার প্রভৃতি জাতীয় অগণতান্ত্রিক পথ পরিহার করতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না বলে বিএনপির ঘোষণাও আমাদের কাছে অগণতান্ত্রিক আচরণই মনে হয়। বিএনপি জাতিকে পুনরায় ২০১৪ সালের দিকে নিয়ে যাবে কিনা তাও হয়তো সময়ই বলে দেবে। তবে, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দলটি দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু জাতির মঙ্গলের জন্য তাদের সেই বোধ আছে কি না সন্দেহ।

পরিবর্তন প্রত্যাশী তরুণ ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এখানে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলের কথাও স্মরণ করতে বলবো। আজ বিএনপির নেতৃত্বে যারা জোটবদ্ধ হয়েছেন তাদের অনেকেরই অতীত নানা রকমের অন্ধকারে আচ্ছন্ন, কালিমালিপ্ত। সুতরাং মেধাবী তরুণ প্রজন্ম সেই ইতিহাসটিও নির্বাচনের মতো গণতান্ত্রিক চর্চায় ভুলবেন না আশা করবো। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠনের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতকে আড়াল করার লক্ষ্যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে দণ্ডিতদের আড়াল করার লক্ষ্যে, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামীদের বাঁচানোর লক্ষ্যে যারা অপরিণামদর্শী খেলায় যুক্ত ছিলেন সেই বিএনপি বর্তমান বাস্তবতায় পরিবর্তনের কতটা বস্তুনিষ্ঠ বিকল্প সেই হিসেব তরুণ প্রজন্ম তো বটেই সব শ্রেণির ভোটারদেরকেই ভাবতে হবে। তরুণদের জানতে হবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের যোগাযোগ ও অর্থ লেনদেন সম্পন্ন হয়েছিল। সে সময়ের বিভিন্ন গণমাধ্যম এরূপ খবর প্রকাশ করে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের হাইকোর্টেরও একটি পর্যবেক্ষণ আছে। তাই ভোট প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেও ভোটারদেরকে অনেক বিষয়েই সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের মাতৃভূমি নিয়ে এরূপ খেলায় যারা যুক্ত তরুণ ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমেই তাদের উপযুক্ত জবাব দিবেন। যদিও প্রবচন আছে ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’ তবুও আমরা সচেতন এবং বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের প্রতি আহবান জানাবো প্রকৃত ইতিহাস, প্রকৃত বাংলাদেশের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার। আমরা যেন কারো মিষ্টি কথায় বড় কোনো ভুল করে না বসি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণ প্রজন্মকেও ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলাতে হবে।

লেখক : ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম – অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 


সর্বশেষ - রাজনীতি