1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান শহর সৌদি আরবের অক্সাগন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২

বৈশ্বিক উৎপাদন শিল্পের আমূল পরিবর্তন আনার উদ্দ্যেশে সৌদি আরব একটি ভাসমান শহর নির্মাণ করছে। দেশটির মেগাপ্রজেক্ট ‘নিওম’-এর অংশ এই নতুন শহরটির নাম ”অক্সাগন’।

সুয়েজ খালের কাছাকাছি লোহিত সাগরের পাড়ে নির্মাণাধীন ভাসমান শহরটি দেখতে ঠিক একটি অষ্টভুজের মতো।

শহরটি তৈরির কাজ উদ্বোধনের সময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন যে অক্সাগন হবে নতুন লজিস্টিক কেন্দ্র যা ভবিষ্যতে শিল্পোন্নয়নে বিশ্বের পদ্ধতিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করবে।

গত বছরের নভেম্বরে ঘোষণা করা এই প্রকল্পটি শেষ হবে ২০৩০ সালে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৯০ হাজার মানুষের জন্য বাসস্থল নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে অক্সাগনের, যার প্রথমটি আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্মিত হবে। এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই উন্নত লজিস্টিক সমাধানের ফ্যাসিলিটিজগুলো আদল পেতে শুরু করবে।

তো কী কী থাকবে এই অক্সাগনে?

অনেকগুলো কারখানা

আবাসিক বাসিন্দা থাকলেও, ভাসমান শহরটিতে মূলত থাকবে কারখানা, ম্যান্যুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটিজসহ অন্যান্য লজিস্টিক-সংক্রান্ত সাইট।

বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১৩ শতাংশ সুয়েজ খালের মধ্য দিয়েই হয়ে থাকে। এজন্য ধারণা করা হচ্ছে অক্সাগনের অবস্থান শিল্পখাতের জন্য বড় সুবিধা নিয়ে আসবে।

নভেম্বরে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী, ‘অক্সাগন হবে প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত লজিস্টিক হাব যেখানে অত্যাধিক সমন্বিত বন্দরের পাশাপাশি থাকবে বিমানবন্দরের সংযোগ।’ এছাড়াও শহরটিতে নির্মাণ করা হবে বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ সমন্বিত বন্দর এবং সাপ্লাই চেইন ইকোসিস্টেম। এর সবকিছুই পরিকল্পনা করা হয়েছে ‘নেট জিরো’ লক্ষ্যমাত্রাকে মাথায় রেখে।

২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাই হলো নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা।

অক্সাগন মোট সাতটি খাতে মনোযোগ দেবে; টেকসই শক্তি, টেকসই খাদ্য উৎপাদন, স্বায়ত্বশাসিত গতিশীলতা (অটোনমাস মোবিলিটি), ওয়াটার ইনোভেশন, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উৎপাদন, এবং নির্মাণের আধুনিক পদ্ধতি।

ইতোমধ্যেই শহরটিতে অনেক কোম্পানি স্থান ভাড়া নেওয়া শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি এয়ার প্রোডাক্টস, এসিডব্লিওএ পাওয়ার এবং নিওম -এই তিনের একটি সমন্বিত হাইড্রোজেন প্রজেক্ট সেখানে পরিচালিত হবে। এছাড়াও সৌদিভিত্তিক ম্যান্যুফ্যাকচারার গাল্ফ মডিউলার ইন্টার্ন্যাশনালসহ ডেজার্ট টেকনোলজিস এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হাইজন মোটর্স অক্সাগনে বিপণী প্রতিষ্ঠা করবে।

প্রকৃতির সাথে একীভূত সম্প্রদায়

আবাসিক এলাকাগুলোর জন্য অক্সাগনে প্রতিষ্ঠিত হবে ‘প্রকৃতির সাথে একীভূত এক সম্প্রদায়’- যেখানে হাঁটা যাবে অথবা হাইড্রোজেন চালিত পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত যাবে।

একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অক্সাগন ও দ্য লাইন-এর দর্শন ও নীতিমালা সদৃশ। তার পাশাপাশি অক্সাগনে থাকবে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘেরা ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের সুবিধা।’

গত বছরের নভেম্বরে অক্সাগনের সিইও বিশাল ওয়াঞ্চু বলেন, অক্সাগনের অবস্থানের কারণে বেশিরভাগ সম্প্রদায় সাগরের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠবে এবং সেগুলো মহাসাগরের প্রাকৃতিক মডারেটিং ইফেক্টসের মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে।

ওয়াঞ্চু আরও সংযোজন করেন, শহরটি হবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সহনশীল এবং সরবরাহ করবে উভূতপূর্ব জীবনযাত্রার মান এবং থ্রি-ডি বিনোদনের সুযোগসুবিধা।

উদ্ভাবনের ক্যাম্পাস

গবেষণা এবং উদ্ভাবন- এই দুটি বিষয় সৌদি আরবের অনেক মেগাপ্রজেক্টের মূল উপাদান। অক্সাগনও তার ব্যতিক্রম নয়। গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে ঘিরে অক্সাগন সহযোগিতামূলক পরিবেশ সম্বলিত একটি সার্ক্যুলার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করবে। এটি হতে যাচ্ছে একটি ইনোভেশন ক্যাম্পাস যেটি প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল সেন্টারগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি