বরিশাল নগরী থেকে এক ছাত্রদল নেতাকে ‘তুলে নেওয়ার’ দাবি করেছে ওই নেতার পরিবার।
বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ১ নম্বর সহসাধারণ সম্পাদক ফোরকান হোসেন ইরান উজিরপুর উপজেলার ধামুরা এলাকার আলম চাঁন সরদারের ছেলে। এ ছাড়া নগরীর গোড়াচাঁদ দাস সড়কে ভাড়া বাসায় থাকা ইরান বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ-এর বিবিএর ছাত্র।
তবে ইরানের নিখোঁজের বিষয়টিকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু বলেন, “বিষয়টি রহস্যজনক। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। ফুটেজে দেখা গেছে, ইরান হেঁটে বের হয়ে রাব্বির হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে চলে গেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই; প্রশাসনের নজরে থাকার মতো কোনো কর্মকাণ্ডও সে করেনি।”
মিঠুর দাবি, “সামনে কমিটি হবে। সবার দৃষ্টি ও সহানুভূতি নেওয়ার জন্য সে সাজানো কোনো ঘটনা ঘটিয়েছে।”
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, “ঘটনার পর ইরানের নম্বর থেকে তাকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়।
“ইরানের চাচাতো ভাই রাব্বি পরিচয় দেওয়া ফোনকারীকে বিষয়টি তার (ইরানের) পরিবারকে জানাতে বলেছি। কিন্তু রাব্বি জানান, ইরানের বাবা ও মা দুজনই অসুস্থ। তাদের জানানো যাবে না। পরে অন্য আত্মীয়-স্বজন নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সকালে থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ দিয়েছেন।”
ছাত্রদল নেতা ইরানের নিখোঁজ হবার বিষয়টি ভুয়া আখ্যা দিয়েছে পুলিশও। বরিশালের কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই আরাফাত হাসান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। অন্য একটি ঘটনা ঘটেছে; তবে এখন জানাবো না।”
তিনি আরও জানান, ছাত্রদল নেতার চাচাতো ভাই রাব্বি তাদের হেফাজতে আছেন; তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
“জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো,” বলেন এসআই আরাফাত হাসান।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম একজন এসআইকে নিখোঁজের চাচাত ভাই রাব্বির সঙ্গে দিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাঠান।