1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্যভান্ডার তৈরি করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সরকার দেশের মৌলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্যভান্ডার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও সেবা খাতের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ সহজ করতেই গড়ে তোলা হবে সরকারের এই তথ্যভান্ডার। এ লক্ষ্যে সারা দেশে অর্থনৈতিক শুমারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই শুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

পরিকল্পনা কমিশন ও পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৫৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার, যা গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন লাভ করেছে। চলতি ২০২৩ সালে নেওয়া প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। সারা দেশেই এই শুমারির কাজ চলবে।

জানা গেছে, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতিসংঘ প্রণিত আন্তর্জাতিক গাইডলাইন সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস (এসএনএ), ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাসিফিকেশন (আইএসআইসি) আরইভি-৮ এবং জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ অনুযায়ী দেশে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা, কাঠামো, লিগ্যাল স্ট্যাটাস, কর্মকাণ্ডের ধরন, উৎপাদিত পণ্য বা সেবার ধরন, কর্মসংস্থান, স্থায়ী সম্পদের মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা। কৃষিবহির্ভূত সব ধরনের প্রতিষ্ঠান ও খানা অর্থনৈতিক শুমারির আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশের মৌলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যভান্ডার তৈরি করবে, যা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের জন্য এ-সংক্রান্ত জরিপের জন্য নমুনা ফ্রেম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে বেঞ্চমার্ক তথ্যভান্ডার তৈরি করা যাবে, যার প্রয়োজন হবে মাইক্রো ও ম্যাক্রো পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচির পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের জন্য।

অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করলে জিডিপি প্রাক্কলনের প্রক্ষেপণ,যৌক্তিকীকরণ এবং আধুনিকীকরণ হবে। ফলে দেশের জিডিপির আকার এবং এর প্রবৃদ্ধি সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে। তা ছাড়া তথ্যবিভ্রাট ও তথ্যের দ্বৈততা দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষিবহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ ও সরবরাহের পরিবর্তে একটি একক উৎস থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাই অর্থনৈতিক শুমারিই হতে পারে খাতভিত্তিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির পরিমাপক ও সরকারের অন্যতম তথ্যভান্ডার।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় জরিপ কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, ১০৭টি সেমিনার বা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরেও প্রকল্পের কাজ পরিচালনার জন্য যানবাহন ভাড়া করা হবে। প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয় মেটানো হবে। প্রকল্প কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কেনা হবে এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার সংগ্রহ করা হবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি আরএডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় (সবুজ পাতায়) ৬৫৫ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়সহ অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে মনিটরিং ও ইভালুয়েশন জোরদারকরণে প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান সরবরাহের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও সেবা খাতের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।

একনেকের অনুমোদন চেয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের মৌলিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যভান্ডার তৈরি করবে, যা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণের জন্য এ-সংক্রান্ত জরিপের জন্য নমুনা ফ্রেম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফলে বেঞ্চমার্ক তথ্যভান্ডার তৈরি করা যাবে, যার প্রয়োজন হবে মাইক্রো ও ম্যাক্রো পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচির পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের জন্য।

অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করলে জিডিপি প্রাক্কলনের প্রক্ষেপণ, সহগ যৌক্তিকীকরণ এবং আধুনিকীকরণ হবে। ফলে দেশের জিডিপির আকার এবং এর প্রবৃদ্ধি সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে। তা ছাড়া তথ্যবিভ্রাট ও তথ্যের দ্বৈততা দূরীকরণের লক্ষ্যে কৃষিবহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ ও সরবরাহের পরিবর্তে একটি একক উৎস থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তাই অর্থনৈতিক শুমারিই হতে পারে খাতভিত্তিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির পরিমাপক ও সরকারের অন্যতম তথ্যভান্ডার।

এমন পরিস্থিতিতে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্পটি ৫৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, সরকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্যভান্ডার তৈরি করবে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প ও সেবা খাতের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ সহজ হবে। একই সঙ্গে জিডিপি প্রাক্কলনের প্রক্ষেপণ, যৌক্তিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ হবে। ফলে দেশের জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধি সঠিকভাবে নিরূপণ করা যাবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি