গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে লাইসেন্সধারীরাও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাচল করতে পারবেন না। এমন নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আর মাত্র তিন দিন পর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গেল ২৩ জুলাই সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) সেখানে উপনির্বাচন হবে।
সম্প্রতি জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১১ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে ১৪ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। যারা এ নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব মাছুদুর রহমান এই প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোত্তালিব।
তিনি বলেন, উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারা মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
উপনির্বাচনে নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন জানান, তিনি পাঁচ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এ সুবাদে দুই উপজেলার তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে তার যথেষ্ট প্রভাব আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করেছেন।
তিনি বলেন, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। এ প্রতীকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আমি নির্বাচিত হলে গাইবান্ধার বালাসি থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ ও ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থার উদ্যোগ নেবো।
জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, লাঙ্গল প্রতীক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদের। উপনির্বাচনে ভোটাররা এ প্রতীককে বিজয়ী করবেন বলে আমার বিশ্বাস।