আবদুল মান্নান
করোনা মহামারি নিয়ে যখন সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ জেরবার ঠিক তখনই দেশে মনে হয় আর একটি মহামারি দেখা দিলো, যা করোনা থেকেও ভয়ঙ্কর, নাম তার ‘ধর্ষণ’। এই পর্যায়ে শুরুটা হয়েছিল সিলেট এমসি কলেজে হোস্টেলে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্তরা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে, বিচারের মুখোমুখি করতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের গায়ে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের লেবাস থাকলেও তা এই পর্যন্ত তাদের আটক বা অপরাধ তদন্তে কোনও কাজে লাগেনি। এই ঘটনা নিয়ে যখন সারা দেশে তোলপাড় চলছে ঠিক তখনই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অন্য আর একটি ঘটনা সামনে চলে আসে, ঘটনাটি ঘটার ৩২ দিন পর। এরপর প্রতিদিন এমনতর নতুন নতুন ঘটনার জন্ম হচ্ছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে যেমন আছে সরকারি লেবাসধারী দুর্বৃত্ত, ঠিক তেমন করে আছে সাধারণ দুর্বৃত্ত। আছে গির্জার পাদরি, মাদ্রাসার সুপার বা প্রিন্সিপাল, ছাত্রনেতা, বাসের ড্রাইভার আর পরিবহন শ্রমিকসহ নানা কিসিমের অপরাধী।
নারী নির্যাতন বা যৌন হয়রানি বাংলাদেশে বা বিশ্বে কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু দেখা গেছে সব দেশেই বেশিরভাগ অপরাধী অধরা থেকে যায় আইনি দুর্বলতার কারণে। অন্যদিকে অধিকাংশ সময়ে নির্যাতনের শিকার নারীরা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাদের প্রতি নিপীড়নের ঘটনাগুলো প্রকাশ করতে চায় না। আর বিশ্বের সব দেশেই যিনি নিপীড়নের শিকার হন তাঁকে সমাজ সহজ চোখে দেখে না। আবার কোনও দেশে নিপীড়নের শিকার নারীকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়, যার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৌদি আরব। শুধু যে নারীরা পুরুষের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন তা-ই নয়, অনেক কওমি মাদ্রাসায় অল্প বয়স্ক বালকরা বলাৎকারের শিকার হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষক বা প্রিন্সিপাল দ্বারা। বেগমগঞ্জের ঘটনার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে তরুণরা ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে রাস্তায় নেমে এসেছে। ধর্ষণবিরোধী এই আন্দোলনের সূত্রপাত করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো, পরে তাতে যোগ দিয়েছে ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন নিঃসন্দেহে একটি সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য আন্দোলন। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের ঘটনা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের বা গোষ্ঠীর একক কোনও আন্দোলনের বিষয় হতে পারে না। ঠিক যেমনটি ছিল না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা অথবা নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। এসব আন্দোলন শুরু করার কৃতিত্বও এই দেশের তরুণদের। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন তো একেবারে স্কুল পড়ুয়ারা শুরু করেছিল। তারপর দেখা গেলো আন্দোলনকারীদের অনেকটা নির্বুদ্ধিতার কারণে আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেলো সরকার তথা আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দ্বারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্লোগান উঠলো ‘এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি’। মাইক হাতবদল হয়ে চলে গেল বিএনপি ও সমমনা দল ও কিছু ‘সুশীল ব্যক্তি’র হাতে। সরকার আন্দোলন সূচনাকারীদের সব দাবিই মেনে নিলো, তারপরও সরকার আর শেখ হাসিনাবিরোধী স্লোগান আর থামে না। এবারও তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে না।
ঊনসত্তরের আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলন তখন তুঙ্গে। ইতোমধ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ঐতিহাসিক ১১ দফা ঘোষণা করেছে। এই ১১ দফার সঙ্গে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নের উভয় গ্রুপ একাত্ম। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদেরও তারা সদস্য। বাইরে আছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ আর আইয়ুব খানের গভর্নর মোনায়েম খানের পেটোয়া বাহিনী এনএসএফ। সে সময় যারা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা সকলেই মেধাবী ছিলেন। এমনকি এনএসএফের নেতাকর্মীরাও। আইয়ুববিরোধী ১১ দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এনএসএফ ভেঙে যায়। ১১ দফাকে সমর্থন করে মাহবুব উল হক দোলন ও নাজিম কামরান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন অংশ। নাজিম কামরান চৌধুরী ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক আর ছাত্রলীগের তোফায়েল আহমদ (বর্তমান সংসদ সদস্য) সহ-সভাপতি। অন্যদিকে মোনায়েম খানের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে রয়ে গেল জমির আলি, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, ফিরোজ রশিদ, আলতাফ, বজলু প্রমুখের নেতৃত্বে একটি অংশ। ১১ দফা আন্দোলনের বিপরীতে এনএসএফের শেষের অংশ একদিন পেশ করলো তাদের বাইশ দফা। এটি ছিল স্রেফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিভ্রান্ত করার জন্য। ২২ দফার মূল বিষয় ছিল ‘গণতান্ত্রিক’ শাসন ব্যবস্থা অটুট রাখা, রাজবন্দিদের মুক্তি, শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো এসব দাবি। কিন্তু ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও অন্যান্য আইয়ুববিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের দূরদর্শিতার কারণে এই ২২ দফা হালে পানি পায়নি। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয় ১১ দফা। বর্তমান সময়ে তেমন মেধাবী ও দূরদর্শী ছাত্রনেতার বড়ই অভাব। সে সময় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, সামসুজ্জোহা, মাহবুবুল্লাহ, মোস্তাফা জালাল হায়দার, সায়ফুদ্দিন আহমদ মানিকের মতো মেধাবীরা। স্বাধীনতার পর উঠে এসেছিলেন মুজাহিদুর ইসলাম সেলিম, মাহবুবজামান প্রমুখ। অর্ধশতাব্দী পর প্রশ্ন করি, কোথায় গেল সেই মেধাবী ছাত্র নেতৃত্ব, বিশেষ করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর? আজকের নেতৃত্ব একটা ভালো আন্দোলন শুরু করে কিন্তু তা নিজ থেকেই তুলে দেয় অন্যের হাতে আর নিজে হয়ে যায় দর্শক।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে এই ‘অন্যরা’ হচ্ছে যারা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন চায় এবং সেখানে পাকিস্তানপন্থী একটি সরকার গঠন করতে চায়, হতে পারে তা বিএনপি বা জামায়াত। এদের নিজেদের কোনও কিছু করার মুরোদ নেই, সব সময় অন্যের পিঠে চড়ে নিজেদের নাজায়েজ ফায়দা লুটতে প্রস্তুত। এটি সবচেয়ে ন্যক্কারজনকভাবে দেখা গিয়েছিল শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়’। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে ব্যর্থ হয়ে এই গোষ্ঠী শাহবাগে আন্দোলনরত ‘গণজাগরণ’ মঞ্চের নেতাকর্মীদের নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করে একাত্তরের ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছিল, নেতৃত্বে ছিল বিএনপি। এখনও ঠিক একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। নবগঠিত জামায়াত, যারা নিজেদের নামকরণ করেছে ‘এবি পার্টি’ হিসেবে, তাদের নেতারা শাহবাগ মোড়ে এসে বাম সংগঠনগুলোর নেতাদের মাইক ধার নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন চাইলো আর সেই মাইক জামায়াত নেতার মুখের কাছে ধরে থাকলো অন্য আর একজন আন্দোলনকারী নেতা। যারা একসময় প্রগতিশীল রাজনীতি করছে তারা হতবাক হয়েছেন এবং বর্তমান সময়ের ছাত্রনেতাদের নির্বুদ্ধিতায় লজ্জিত হয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি ও তাদের সঙ্গে থাকা দু’-একটি ওয়ান ম্যান পার্টির নেতাদের নিয়মিত হুঙ্কার ছাড়তে দেখা যাচ্ছে যে এই ধর্ষণ মহামারি সমস্যার সমাধান করতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে হঠাতে হবে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সারা দেশে যে ‘হাবিয়া দোজখ’ সৃষ্টি করেছিল তা কি দেশের মানুষ ভুলে গেছে? ১ অক্টোবর নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ অন্যান্য স্থানে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগ সমর্থক তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা মনে করলে ওই সব এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংসতার তদন্তের জন্য দেশের উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটিত হয়। ২০১১ সালে কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় জামায়াত-বিএনপির ২৫ জন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য জড়িত ছিলেন। তাদের টার্গেট ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তাদের কর্মীদের দ্বারা সারা দেশে কমপক্ষে ১৮ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহারা হয়েছিল। কয়েক হাজার দেশত্যাগী হয়েছিল। যারা আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ধর্ষণের মহামারি সমস্যা এই সরকারের দ্বারা সমাধান সম্ভব নয় বলে গলাবাজি করেন, তারা সেদিন কোথায় ছিলেন?
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে দেশের সকল বিবেকবান মানুষ একাত্ম হয়েছে। সিলেট এমসি কলেজ ও বেগমগঞ্জে সংঘটিত ন্যক্কারজনক ঘটনা আর এই ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারদিকে ওঠা প্রতিবাদকে সম্মান জানিয়ে সরকার ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে, মামলা দায়ের হয়েছে, আর এই অপরাধের দায়ে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শাহবাগে আন্দোলনরত বিভিন্ন গোষ্ঠী এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাদের নয় দফা দাবি ঘোষণা করেছে, যার কোনোটার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনও সুযোগ নেই। সোমবার মন্ত্রিপরিষদের সভায় ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। তারপরও একশ্রেণির মানুষ সন্তুষ্ট হবেন না। তাদের দাবি ধর্ষণ সমস্যার সমাধান নয়। দাবি তাদের একটা। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তা যদি না হয় কোন সাহসে তারা শাহবাগ মোড়ে মুজিব কোট পোড়ায় অথবা শেখ হাসিনার ছবিতে অগ্নিসংযোগ করে? মুজিব কোট তো কোনও একজন ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র নয়। এটি ঠিক এই পোশাক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পরতেন। তারও আগে অনুরূপ পোশাক ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও পরতেন। কিন্তু এই পোশাকটা বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর গায়ে ওঠার পর, যেমনটি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর পাইপ বা তাঁর বসার ও কথা বলার স্টাইল। বলা হয় এই পোশাকে ছয়টা বোতাম লাগানোর ঘর আছে, যা ছয় দফার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এটি ঠিক এই পোশাক অনেক অযোগ্য, অপদার্থ আর দুর্বৃত্তদের গায়ে উঠেছে কিন্তু জনগণ মুজিব কোট বলতে শেখ মুজিব যেটি পরতেন তাকেই বোঝে। এটি আমাদের স্বাধীনতার একটি প্রতীক। যারা আজ এই মুজিব কোট পোড়ালো তারা একদিন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ করতে দ্বিধা করবে না। কারণ, বর্তমান সময়ে অনেক যৌক্তিক আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য ছদ্মবেশে অনেক পাকিস্তানপ্রেমী আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে স্রেফ নেতাদের বোকামির কারণে। আর কি উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার ছবিতে অগ্নিসংযোগ? তাঁর ছবিতে অগ্নিসংযোগ বা তাঁর পদত্যাগই কি সব সমস্যার সমাধান দিয়ে দেবে? এই শেখ হাসিনাই তো ‘নিরাপদ সড়ক’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বেপরোয়া চালকদের নিয়ন্ত্রণ করা ও আইন ভঙ্গকারীদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করেছিলেন। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মানবতাবিরোধী অপরাধের শাস্তির আইন পরিবর্তন হয়েছিল। আবার ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ও বিশ্ব বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করা হলো দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্থাপিত হবে মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে। প্রথমে পরিবেশবাদীরা শুরু করলো এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন। তারপর স্থানীয়রা তাতে যোগ দিলো এই বলে, এতে তাদের জায়গা জমিন সব চলে যাবে। বিমানবন্দরটি পরিকল্পিত হয়েছিল পদ্মা সেতুকে ঘিরে। শুরু হলো সহিংসতা। মারা পড়লো একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এসব দেখে শেখ হাসিনা বাতিল করলেন প্রস্তাবিত বিমানবন্দর প্রকল্প। এটি শেখ হাসিনা বলে সম্ভব। এরইমধ্যে সেই এলাকার সব কৃষিজমি জমি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। কারও কোনও আওয়াজ নেই। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আছে, থাকতে পারে, থাকাটা স্বাভাবিক। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়াটাও বিচিত্র নয়। কিন্তু আন্দোলনের নামে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার তা তো মেনে নেওয়া যায় না। যারা নানা যৌক্তিক বিষয়ে আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তারা সতর্ক না থাকলে তাদের কাঁধে বন্দুক রেখে অন্যরা সহজে শিকার করে যাবে। এতে শেষতক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারাই, যারা একটি যৌক্তিক বিষয় নিয়ে কোনও একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তারা। বিষয়টি সকল সচেতন মহল মনে রাখলে মঙ্গল।