১৬ জেলার ৪৫টি উপজেলায় ৮ হাজার শিশুযত্ন কেন্দ্র হচ্ছে। সেগুলোতে একজন করে শিশু যত্নকারী (কেয়ার গিভার) ও একজন করে সহকারী যত্নকারীসহ মোট ১৬ হাজার নারী নিয়োগ পাচ্ছেন। একই সঙ্গে শিশুদের সাঁতার শেখাতে এক হাজার ৬০০ সাঁতার প্রশিক্ষকও নিয়োগ পাবেন। তাদের মধ্যেও অর্ধেক নারী।
‘ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি বেইজড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফ্যাসিলিটিজ’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে নেওয়া প্রকল্পটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বেসরকারি সংস্থা ও সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সহায়তায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশু একাডেমির মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধ ছাড়াও প্রান্তিক পর্যায়ে এ সংখ্যক নারীকে কর্মে নিয়োগের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান হবে, একই সঙ্গে তা নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, একনেকে পাস হওয়ার পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে আছি আমরা। ১৬ হাজার কেয়ার গিভার হবেন নারী। যারা স্থানীয়ভাবে নিয়োগ পাবেন। এতে শিশুদের সুরক্ষার সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন হবে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশুকে দেখার কেউ থাকে না। বাবা কাজে চলে যান, মাও গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ভাই-বোনরা স্কুলে চলে যায়। এ অবস্থায় পরিবারের ছোট শিশুরা আনকেয়ারড অবস্থায় থাকে। দেখা যায় ওর ইচ্ছা মতো চলতে চলতে পানিতে পড়ে যায়। এই শিশুদের আমরা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুযত্ন কেন্দ্রে রাখবো, যেটা হবে ওই শিশুর বাড়ির আশপাশে। আবার যে শিশুরা স্কুলে পড়ে তাদেরও আমরা সাঁতার শেখাবো।