1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রেমিট্যান্স প্রবাহ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও নিরাপদ অভিবাসন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, ১৬২টি দেশে এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৩ ভাগ। পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার জন্য এটিই শীর্ষ খাত। বাংলাদেশ সত্তরের দশক থেকেই জনশক্তি রপ্তানি করছে। শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির প্রধান বাজার। আশির দশক থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়- লিবিয়া, সুদানসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও তখন থেকেই জনশক্তি রপ্তানি। নব্বইয়ের দশক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, মরিশাসসহ কয়েকটি নতুন বাজার সৃষ্টি হয়। নতুন সহস্রাব্দে ব্রিটেন, ইতালি, জাপানসহ এশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সৃষ্টি হয় জনশক্তির চাহিদা। বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ অ্যামেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের জনশক্তির বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। ইরাক, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, স্পেন, তিউনিশিয়া, চিলি, পেরুসহ শতাধিক দেশে বাংলাদেশ বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানি করছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বাংলাদেশর ৫০ লাখের বেশি কর্মী আছেন।? শ্রমিক ছাড়াও বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ইউরোপ-অ্যামেরিকাসহ উন্নত বিশ্বে উচ্চ পদে কাজ করছেন, ব্যবসা করছেন, করছেন গবেষণা এবং পড়াশোনা। সেই হিসেবে এক কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি এখন প্রবাসে জীবনযাপন করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সরকার ১৯৭৬ সালে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) প্রতিষ্ঠা করে? এ সংস্থার উদ্দেশ্যে হলো, দেশের অভ্যন্তরীণ জনশক্তির চাহিদা পূরণসহ বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বিএমইটি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের জনশক্তির যথাযথ ব্যবহার সংক্রান্ত কৌশল ও সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। বিএমইটির অধীনে ৪২টি জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চারটি বিভাগীয় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, ৪৭টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চারটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি ও তিনটি শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ অফিস আছে। কোনো প্রবাসী কর্মী মারা গেলে লাশ পরিবহণ ও দাফনের জন্য তার পরিবার যাতে কিছু অর্থ পায়- এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদও কিছু পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়। তবে যে দেশে তিনি মারা যান, সেই দেশে কর্মক্ষেত্রে মারা গেলে কী ক্ষতিপূরণ আছে- তা জানতে বা সেটা আদায় করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। আমাদের প্রবাসীদের ‘কমন’ অভিযোগ হলো যে, তারা যখন বিদেশে কোনো বিপদে পড়েন, আইনগত ঝামেলায় পড়েন বা কোনো কারণে আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তারা আমাদের দূতাবাসগুলোর কোনো সহায়তাই নাকি পান না। দূতাবাসগুলো তাদের পাশে না থাকায় ওইসব দেশের কর্তৃপক্ষও তাদের সম্মান বা মর্যাদা দেয় না। সৌদি আরবের কথাই ধরা যাক- সেখানে আমাদের ২০ লাখ প্রবাসীর জন্য মাত্র দু’টি ‘লেবার উইং’ আছে আর আছেন ছয়জন কর্মকর্তা। প্রবাসীদের কথা, এই ছয়জনের পক্ষে এত প্রবাসী কর্মীকে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব নয় আর আমার কথা হলো, পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় না কেন?’ জনৈক শরিফুল হাসান জানান, ‘প্রবাসীরা মারা গেলে লাশ দেশে পাঠানোর জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়।? প্রবাসীরা কখনো কখনো চাঁদা তুলেও লাশ দেশে পাঠান। অথচ আমাদের দূতাবাসগুলো খবরও রাখে না।’ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাংকটি করা হয়েছিল যারা বৈধভাবে বিদেশে কাজের জন্য যাবেন এবং যারা ফিরে আসবেন তাদের ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই ব্যাংক আসলে প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাংক গড়ে উঠেছে প্রবাসীদের টাকায়। তাদের ৯৫ কোটি টাকা এখানে আছে। আমার প্রশ্ন হলো, রাষ্ট্র কেন এই টাকা দেবে না? শুধু তাই নয়, এখান থেকে প্রবাসীরা তাদের চাহিদামতো ঋণও পান না’।

প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিট্যান্স (Remittance) বলে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মিটায় না, কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স থেকে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মিশর, লিবিয়া, মরক্কোসহ অনেক দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক ও পেশাজীবীরা কাজ করছেন। একইভাবে কাছে ও দূর প্রাচ্যের মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতেও বাংলাদেশের বহু মানুষ নানা পেশায় নিয়োজিত আছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকাতেও বহু বাংলাদেশি চাকরি ও ব্যবসাসহ নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল ৪.৭৮ লাখ এবং তাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ (রেমিট্যান্স) ছিল ১৮,২০৫.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯৬৮৯ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। ২০০৯ সালে তা ৮ম স্থানে উন্নীত হয়। এ সময় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিল ২য়। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের কোনো সংকটের মধ্যে না পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের রেমিট্যান্স। (উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২০)

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মী। ‘দক্ষ কর্মী তৈরিতে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া চলবে না। দক্ষ কর্মী তৈরি করতে যা করা দরকার সেটা এখন আমাদের করতে হবে। আমাদের প্রথমত, কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব।’ বক্তারা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে খরচ কম হয়। তবে রেমিট্যান্সের বড় অঙ্ক হুন্ডির মাধ্যমে আসে। রেমিট্যান্স এ প্রণোদনা বাড়িয়েই অবৈধ হুন্ডি বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর জন্য প্রয়োজন কর্মীবান্ধব হওয়া। কর্মীবান্ধব হলেই বৈধ পথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে হুন্ডি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও এর প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে। সৌদিতে বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্টের কাজ হচ্ছে। এর জন্য অনেক দক্ষ কর্মী প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে যদি দক্ষ কর্মী পাঠানো যায় তবে রেমিট্যান্স আরো বৃদ্ধি পাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে চাই। কয়েক মাসের মধ্যে আমরা বিনিয়োগ করতে পারব। দুই দেশের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ হাজারের ওপর ভিসা ইস্যু হয় সৌদি দূতাবাসে। এটা ১২ হাজার পর্যন্ত উন্নীত করা হবে। সৌদির পক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার টাকা নেওয়া হয় না।’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ কমে আসছে, রিজার্ভে যে প্রবাসীদের অবদান আছে সেটি কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে হবে। বর্তমান সরকার তা করেছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু যা-ই কিছু করা হোক না কেন, সমস্যা থেকেই যায়। রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনা বাড়িয়ে দিতে বলা হয়। আমি কিন্তু বাড়ানোর পক্ষে নই। আমাদের যথেষ্ট টাকা আছে, আমাদের দরকার ডলার। আমরা যদি অভিবাসী কর্মীদের টাকা বেশি দিই, তাহলে কিন্তু আরেক দিক দিয়ে টান পড়তে পারে।’

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি হলে প্রবাসী আয় বর্তমানের তুলনায় অনেক বাড়বে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। তাই কর্মীদের গুণগতমানের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রকল্পে অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ওপর কার্যকর পরিকল্পনাও প্রণয়ন করবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর ৭ থেকে ৮ লাখ কর্মী বিভিন্ন দেশে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে। দক্ষতার অভাবে তারা অনেক কম বেতনে চাকরি করছেন। অথচ অন্য দেশের কর্মীরা দক্ষতার কারণে বেশি বেতন পাচ্ছেন। দেশের প্রায় এক কোটি কর্মী বিদেশে চাকরি করলেও রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে না। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ১২ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার আগের অর্থ বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অদক্ষ জনশক্তি রপ্তানির কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ দিন দিন নেমে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে বিদেশি ৫ থেকে ৬ লাখ দক্ষ জনশক্তি কাজ করছেন। তারা প্রায় সমপরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছেন। যদিও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বর্তমানের চেয়ে অনেক কম কর্মী বিদেশে চাকরি করেছে। জানা গেছে, দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশে বিপুলসংখ্যক অদক্ষ কর্মী যাওয়ার ফলে শুধু সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু টাকা বাড়ছে না। এই অদক্ষ কর্মীর বেশির ভাগই গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী। তাদের নানাভাবে প্রলোভনে ফেলে মধ্যস্বত্বভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অঙ্কের টাকা। দালালদের লোভনীয় প্রস্তাবে অনেক বাংলাদেশি কোনো প্রকার কাজ ছাড়াই এভাবে বিদেশ গিয়ে বিপদে পড়ছেন। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশের কর্মীদের মান অনেক নিচে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে লাখ লাখ কর্মী বিদেশ গেলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে না। গুণগতমান ঠিক করতে না পারলে বিদেশের শ্রমবাজারগুলো হারাতে হতে পারে। বিএমইটি সূত্র জানিয়েছে, একজন দক্ষ কর্মীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে। কিন্তু সেই কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে দেশে প্রবাসীরা ভালোমানের কাজ করতে পারবে না। প্রবাসীরা বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের কর্মদক্ষতা যাচাই করতে হবে। দক্ষতার বিচারে তখন অনেক অদক্ষ কর্মী বিদেশে যেতে পারত না।

কেমন আছেন প্রবাসী বাঙালীরা? কেমন লাগে প্রবাসে স্বজন ছাড়া থাকতে। দেশ নিয়ে কী তাদের চিন্তা। এতদসংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা তাদের নিজেদের জীবনযাত্রা সুখ দুঃখের অভিজ্ঞতা নিজেদের জবানিতে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরছেন। অনিয়ম দুর্ভোগের অবসানের লক্ষ্যে তারা আশায় দিনযাপন করছে। পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও নিরাপদ অভিবাসন আজ এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রবাসী গমনেচ্ছু লোকরা অনেকটাই শাখের করাতের অবস্থার মুখোমুখি হয়। বিদেশে যাওয়ার আগে এক ধরনের দুর্ভোগ আর বিদেশে যাওয়ার পরে আসে নতুন দুর্ভোগ। প্রকৃতপক্ষে যতদিন না এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে ততদিন এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের পথ থাকবে না।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য দক্ষ কর্মী ও নিরাপদ অভিবাসন এই দুটিই জরুরি। প্রবাসীদের প্রতি সদয় হোন। এদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ করুন। তাই আসুন, প্রবাসীদের প্রতি বৈরী আচরণ রোধে এবং হয়রানি ও দুর্ভোগ প্রতিকারার্থে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ প্রবাসীদের ভালোবাসতে সচেষ্ট হই।

লেখক: ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ – সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, কলামিস্ট ও গবেষক।


সর্বশেষ - রাজনীতি