1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নিষেধাজ্ঞা শেষে উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন, বনে যাচ্ছেন জেলে-পর্যটকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। মূলত বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়াতে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকে সুন্দরবনে মাছ শিকার, পর্যটন পরিবহন ও ভ্রমণ।

বনবিভাগ জানায়, প্রজনন মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের দুই লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর আয়তনের বনের ৪২০টি নদী-খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এতে ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন হয়েছে।

আর এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছিল মোংলার বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন নির্ভরশীল প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার। প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় সুন্দরবনে ২৯১ প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। আর বনের ৩১৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজননও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, পর্যটনবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দর্শনার্থীদের ভ্রমণও বন্ধ থাকে।

এতে তিন মাস ধরে বেকার সময় পার করেন ট্যুরিস্ট ব্যবসায়ীরা। এখানকার ৬০টি ট্যুরিস্ট লঞ্চ ও সাড়ে চারশ ট্রলার-জালিবোটের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার অলস সময় কাটিয়েছেন।

তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে বনের পর্যটন স্পটগুলোতে যাচ্ছেন পর্যটনবাহী নৌযানগুলো। দ্য সাউদার্ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক পর্যটন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে পর্যটক নিয়ে চারটি লঞ্চ সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।

আর ট্রলার ও জালিবোটেও পর্যটকেরা যাচ্ছেন করমজলে। তবে তিন মাসে যে ক্ষতি হয়েছে আমাদের তা কোনভাবেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখা সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আজ শুক্রবার ভোর থেকেই বনবিভাগের কাছ থেকে পাস পারমিট নিয়ে জেলেরা সাগর ও সুন্দরবনে মাছ শিকারে যেতে শুরু করেছেন। নিষেধাজ্ঞার সময়জুড়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করেছেন জেলেরা। এসময় জেলেরা নামমাত্র যে চাল পেয়েছিলেন তা ছিল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় বনের নদী-খালে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে।

তবে নিষেধাজ্ঞার সময়ে পর্যটন ব্যবসায়ীদের যে আর্থিক হয়েছে তা কোনভাবেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয় বলে জানান ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালে সরকারের জাল সহায়তা পেলেও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা পাননি।


সর্বশেষ - রাজনীতি