জিয়াউর রহমানের শাসনামলে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকুরিচ্যুত সামরিক বাহিনীর
সদস্যদের স্বজনদের উদ্যোগে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে “গণফাঁসি- ৭৭” শীর্ষক এই প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান পিন্টু।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী বলেন, যাদের বিচারের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল তাদের বিচার শেষ না করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। ৪৫ বছর ধরে ভুক্তভোগীদের এই বোবা কান্নার বিচার বিএনপির কাছে চাই, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার বিএনপির কাছে চাই। খুনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির সৃষ্টি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখে যে নির্যাতন অত্যাচার করেছে তাদের মুখোশ বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।
নজরুল ইসলাম এমপি বলেন, ১৯৭৭ সালে যাদেরকে খুনী জিয়া নিশৃংসভাবে প্রহসনের বিচারের নামে হত্যা করেছিলেন তারা সকলে সামরিক বাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অবাক করা বিষয় ছিল যে, তিনি এসকল সদস্যদের ফাঁসির রায় সকালে নাস্তার টেবিলে সাইন করতেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এই ঘটনার পূনঃতদন্ত চায়, পিতাহারা সন্তানেরা বুকে চাপা ব্যথা নিয়ে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। খুনি জিয়ার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।
আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি জনাব শামসুদ্দিন মানিক বলেন, খুনি জিয়া নুন্যতম বিচার তোয়াক্কা না করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। বিচারিক নিয়ম হচ্ছে একজন আসামিকে ফাঁসির আগে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা কিন্তু খুনি জিয়া তার কিছুই করেনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দীপ্ত টিভির পরিচালক ফুয়াদ চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, মোঃ কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন প্রমুখ।