দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার পাপড়। কালের বিবর্তনে পাপড়ের চাহিদা হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে জেলার বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা নতুন করে বাণিজ্যিকভাবে পাপড়ের উৎপাদন শুরু করায় গতি ফিরেছে এই শিল্পে। এখানকার পাপড় যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১১টি জেলায়।
পাপড় ব্যবসায়ী ও চেম্বার অব কমার্সের নেতারা বলছেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি, রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হলে প্রসার ঘটবে এই শিল্পের।
এক সময় পাপড় রাজ দরবারের প্রসিদ্ধ হলেও কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী খাবারটির প্রসার অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে।
তবে, দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে পাপড়ের উৎপাদন শুরু করায় আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে শিল্পটি। শহরের চকবাজার, নতুনপাড়া, গুঞ্জাবাড়ির মাঠসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে প্রায়ই ঘরে গড়ে উঠেছে পাপড় তৈরির কারখানা।
ঘরের বারান্দায় কিংবা প্রশস্ত উঠানে একত্রিত হয়ে পাপড় তৈরি করছেন হাজারও নারী। সংসারের কাজের পাশাপাশি পাপড় বানিয়ে বাড়তি আয়ে সচ্ছলতা এসেছে অনেকের পারিবারে।
পাপড় তৈরির নারী শ্রমিকরা জানান, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা পাপড় তৈরি করেন। এই পাপড় তৈরি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় বলেও অভিযোগ তাদের।
তবে স্থানীয় পাপড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় টেক শোতে আমাদের যদি অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয় তাহলে এই পাপড় দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী বলছেন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি, রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হলে এই শিল্পের প্রসার ঘটবে।
দিনাজপুরে পাপড় শিল্পের সঙ্গে ১০ হাজার নারী শ্রমিক জড়িত। এখানকার পাপড় যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১১টি জেলায়।