সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শালবাগান আশ্রয়শিবিরের একটি ঘরে রাখা হয়েছে ৫ রোহিঙ্গা তরুণীকে।
এ তথ্য জানার পর তাদের উদ্ধার করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। এ সময় পাচারের চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (০৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা শালবাগান আশ্রয় শিবিরে ডি-১ ব্লকের রোহিঙ্গা অসিউর রহমানের ঘরে এ অভিযান চালানো হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এপিবিএনের ওই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ হাসান বারী নূর।
আটককৃতরা হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডি-১ ব্লকের মৃত. মো. আমিনের ছেলে সালামত উল্লাহ (৪০), মৃত. সমশু আলমের ছেলে নজিমুল্লাহ (২০), সৈয়দ কাসিমের ছেলে ওয়াসিউর রহমান (৩৫) এবং উমর মিয়ার ছেলে নুর আলম (৩০)।
এপিবিএন জানায়, সকালে শালবাগান পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গোপনে খবর পান, মালয়েশিয়া পাচারের জন্য কয়েকজন রোহিঙ্গা তরুণীকে একটি জায়গায় আনা হয়েছে। এরপর শালবাগান আশ্রয়শিবিরে ডি-১ ব্লকের রোহিঙ্গা অসিউর রহমানের ঘরে অভিযান চালিয়ে ৫ রোহিঙ্গা তরুণী ও পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
উদ্ধার করা তরুণীদের বরাত দিয়ে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইবনে মিজান বলেন, সমুদ্রপথে ট্রলারে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে দালালচক্র ওই ৫ তরুণীকে অসিউর রহমানের ঘরে নিয়ে আসে। আটক ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গা তরুণীদের ও আটক চার রোহিঙ্গাকে রোববার (০৭ আগস্ট) কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।