দ্বিতলবিশিষ্ট পদ্মা সেতু জুনেই চালু হবে। সেতু খুলে দিতে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
সেতুর স্টিলের স্প্যানের ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। স্প্যানের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। মাঝখানে রয়েছে বিভাজক।
বর্তমানে পদ্মা সেতুতে চলছে পিচ ঢালাই আর বাতির খুঁটি বসানোর কাজ। উদ্বোধনের জন্য রং আর আলোকসজ্জার কাজও এগিয়ে চলছে। যা ২৩ মের মধ্যে শেষ হবে।
কোন তারিখে পদ্মা সেতু চালু হবে তা সরকারের নীতিনির্ধারকেরা ঠিক করবেন। তবে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট রয়েছে বলে জানা যায়। সেই টার্গেটে সব কিছু এগোচ্ছে। জুনেই সেতু চালু হবে। এছাড়া কোনো জটিল কাজ এখন নেই। যা আছে সবই মসৃণ আর সাজসজ্জার কাজ।
ঠিকাদার সূত্রে জানা গেছে, সেতুর সাজসজ্জার কাজ ২৩ মের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সূত্র জানায়, রেলপথ বসাতে সময় লাগবে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। সড়কপথটি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে যান চলাচলের উপযোগী করে তৈরি করা হলেও রেলপথ স্থাপনের কাজ চলাকালে ঝুঁকি এড়াতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি রাখা হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু তৈরি করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত পৃথক প্রকল্পে নতুন ১৬৯ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ তৈরি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল, পদ্মা সেতুতে যেদিন থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হবে সেদিন থেকেই ট্রেন চালানোর। তবে রেল সংযোগ কাজের ধীরগতির কারণে এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার।
রেলপথটির একটি অংশ (ঢাকা-ভাঙ্গা) চালুর লক্ষ্য ধরা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। আর পুরো রেলপথটি চালু হবে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে।