নরসিংদী সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার ব্যাগে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন ফার্মাসিস্ট ও তার বাসার কাজের বুয়া।
এর আগে সোমবার (০১ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতাল গেটে সিকিউরিটি গার্ডের কাছে ধরা পড়েন তারা।
সিকিউরিটি গার্ড হাবলু মিয়া জানান, নরসিংদী সদর হাসপাতালে এক যুগেরও অধিক সময় ধরে মালির কাজ করে আসছিলেন তিনি। গত সোমবার প্রমোশন দিয়ে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব দেন। স্বাভাবিকভাবেই মূলফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাবলু।
এ সময় হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট তারেক ও তার বাসার এক কাজের বুয়া ময়লার ব্যাগে করে হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকা ওষুধ নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাচ্ছিলেন অন্যত্র বিক্রির জন্য। ঘটনাটি হাবলুর চোখে পড়লে তিনি বাধা দেন এবং তর্ক বাধে ওই ফার্মাসিস্টের সঙ্গে।
সিকিউরিটি গার্ড হাবলু মিয়া আরও জানান, এ ঘটনার পর তাকে বাহাবা দেয়ার বদলে পুনরায় মালির কাজে ফিরে যেতে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বিষয়টি নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা।
এ রকম ওষুধ প্রায়ই হাসপাতাল থেকে ফার্মাসিস্ট তারেক ও তার বাসার এক কাজের বুয়া বের করে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যাম্বুলেন্স চালক ও হাসপাতাল কর্মচারীরা।
এদিকে প্রায়ই সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি হয় এটা মানতে নারাজ সিভিল সার্জন। সোমবারের ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম।
ওষুধ পাচারের মূলহোতা ফার্মাসিস্ট তারেককে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।