1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

উপকূলে কর্মচাঞ্চল্য: ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে জেলেরা

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে রোববার (২৩ জুলাই) মধ্যরাতে। জাল, দড়ি, মাঝি-মাল্লা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রাতেই সাগরে যাত্রা শুরু করেছে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস অবতরণ কেন্দ্রের মাছধরার ট্রলারগুলো।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জেলে পরিবারগুলোতে। ২৩ জুলাই সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় জেলেরা। কেউ জাল-দড়ি ট্রলারে তুলছেন, কেউ জ্বালানি তেল সরবারহ করছেন। সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে সব ট্রলার সাগরে যাওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। এখানকার বরফকলগুলোতে শুরু হয়েছে বরফ উৎপাদন। মাছ পরিবহনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন শ্রমিকরা।

৬৫ দিন সাগরে যেতে না পারায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন তালিকা অনুযায়ী দুই ধাপে বরগুনায় ২৭ হাজার ২৭৭ জন জেলেকে ১ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাগরে যাত্রা শুরু করছেন তারা। সমুদ্রে জেলেদের জালে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে এমনটা আশা ট্রলার মালিক ও জেলেসহ সবার।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেলেরা বলেন, এই ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাগরে যেতে পারিনি। অভাব অনটনের মধ্যে কোনোভাবে বেঁচে ছিলাম। ৮৬ কেজি চাল পেয়েছি, তবে শুধু চাল খেয়ে তো আর বেঁচে থাকা যায় না। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলো। সাগরে যাচ্ছি। বেশ খুশি লাগছে। আমরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নিয়ে ফিরব ইনশাআল্লাহ।

আবুল হোসেন নামে এক জেলে বলেন, ট্রলার মেরামতের কাজ শেষ, এখন বাজার-সদয় করাও শেষ। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। রাতে সাগরে রওয়ানা হব। আশা করছি এবার ভালো মাছ পাব। পরিবারের অভাব দূর হবে। তবে এবার আশানুরূপ ইলিশ না পেলে জেলে পেশায় আর থাকব না।

জেলা মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, কষ্ট করে হলেও নিষেধাজ্ঞার সব নিয়ম পালন করেছে পাথরঘাটার জেলেরা। বরগুনায় মোট জেলে রয়েছে প্রায় ৭০ হাজারের মত, এর মধ্যে নিবন্ধিত ২৭ হাজার ২৭৭ জন জেলেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাকি জেলেরা কেউ কোনো সহায়তা পায়নি। তবুও সবাই তাকিয়ে আছে সাগরের দিকে। সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়লেই সবার কষ্ট সফল হবে। আমাদের এখানে শতাধিক ট্রলার প্রস্তুত রয়েছে। মধ্যরাতে তারা সাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। আশাকরি জেলেরা আশানুরূপ মাছ নিয়ে ফিরবে।

জেলা মৎস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলার ২৭ হাজারেরও বেশি জেলেকে  ১ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেওয়া হয়। আজ রাতে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে। এখন সাগরে মাছ ধরায় আর বাধা নেই। আশা করা যায় জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরতে পারবে।

প্রসঙ্গত, দেশের সমুদ্র সীমায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে সরকার ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে কেবল বড় ট্রলারগুলোর জন্যই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ মে মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। আজ শেষ হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। তবে আগামী বছর থেকে ভারতের সঙ্গে মিল রেখে একই সময়ে এদেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।


সর্বশেষ - রাজনীতি