1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

নিজ অর্থে দশ গ্রামের মানুষের জন্য সাঁকো করলেন পুলিশ কর্মকর্তা

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২

বরিশালের বানারীপাড়ায় নিজ অর্থে দশটি গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তায় একটি সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন পুলিশের এক এসআই।

শুক্রবার ও শনিবার দুদিনে পুরনো সাঁকো ভেঙে নতুন এই সেতু নির্মাণ করেন ভাণ্ডারিয়া থানায় কর্মরত এসআই জিয়াউর রহমান।

তিনি বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান বালীর ছেলে।

এসআই জিয়াউর রহমান জানান, দুই দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তখন দেখতে পান উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের পশ্চিম আউয়ারের গ্রামে গাছ-বাঁশ নির্মিত এই সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ।

এলাকবাসীর বরাতে এসআই জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় সাঁকো দিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র সাঁকো মেরামতে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগ নেননি।

জিয়া বলেন, এই সাঁকো দিয়ে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ও উদয়কাঠি ইউনিয়নের দশ গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চলাচল করে।

তিনি জানান, তাদের দুর্দশার কথা উপলব্ধি করে শুক্রবার সকালে সেতু নির্মাণ শুরু করেন। শনিবার দিনভর ১২ জন শ্রমিক ও কাঠ মিস্ত্রি নিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন।

সাকো নির্মাণে তার ৮/৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই।

তিনি আরও বলেন, ছুটিতে বাড়ি গেলে সাঁকোটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলেছেন। কিন্তু তিনি কর্ণপাত না করায় নিজে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

সাঁকো দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. রুস্তুত বলেন, দুই থেকে আড়াই বছর ধরে সাঁকোটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়েছিল। মেহেগনি গাছ ও বাঁশ দিয়ে নির্মিত সাঁকো দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে পার হতো।

“মেম্বার-চেয়ারম্যানদের জানানো হলেও তারা এসে দেখে ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক করে দেননি। জিয়া ভাই শনিবার সাঁকোটি ভেঙে নতুন সেতু করে দিয়েছেন।”

পশ্চিম আউয়ার গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ বলেন, “চার (সাঁকে) ভাঙা থাকার কারণে নাতি দুইদিন স্কুলে যেতে পারেনি। এখন আমি আমার নাতিসহ সবাই ভালো ভাবে চলাফেরা করতে পারব।”


সর্বশেষ - রাজনীতি