1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

অসহায় রুমার পাশে শেখ হাসিনা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি  : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ার অসহায় রুমা আক্তারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন জেলার প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় তার খোঁজ নিতে যান তিনি।

এর আগে সকালে নারায়ণপুর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারের দেওয়া সন্তানদের নিয়ে নতুন ঘরে ওঠেন রুমা। এছাড়া এক বছর রুমাকে প্রতিমাসে নগদ তিন হাজার টাকা করে দেবে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও রুমাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাকে চাল ও নগদ টাকাও দেওয়া হয়েছে।

অসহায় রুমা আক্তারকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তার ভাগ্য বদলানো শুরু হয়। সরকারের পক্ষ থেকে রুমাকে বাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম সহযোগিতাও করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকির মাধ্যমে নির্দেশনা পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম এর কাছে। এরপর সে অনুযায়ী নেওয়া হয় ব্যবস্থা।

রুমা আক্তার বলেন, ‘ভালোভাবে সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা চিন্তা করে মোল্লার (দোকানির প্রচলিত নাম) কাছ থেকে চা, বিস্কুট, কেক খেয়েছি। প্রয়োজনে টাকা নিয়েছি। তখন মোল্লা আমাকে বলতো বাচ্চা হলে যেন দিয়ে দেই। ওনি কাকে যেন বাচ্চা দিয়ে দেবেন। আমি না করতাম। টাকা দিয়ে দেবো বলতাম। আমার বাচ্চা জন্ম হওয়ার সময় মোল্লা কিছু টাকা দেন। এখন তিনি একটা বাচ্চা নিয়ে যেতে চান। আমি আমার বাচ্চা কাউকে দেবো না।’

ভোলার লালমোহন উপজেলায় রুমা আক্তারের জন্ম। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। সৎ মায়ের অত্যাচারে ছোট বেলায় বাড়ি থেকে বের হওয়া। বেড়ে ওঠা এখানে-সেখানে। কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় হবিগঞ্জের এক যুবকের সঙ্গে। স্বামীকে নিয়ে থাকতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। কয়েক মাস হলো বড় সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী আরেকজনকে বিয়ে করে অন্য কোথাও চলে গেছেন। রুমা জানেন না তার স্বামী কোথায়।

আখাউড়ার খড়মপুরে দিনমজুর ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। এক কন্যাসন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিলো রুমার সংসার। দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের পর প্রায় ছয়-সাত মাস আগে কন্যাকে নিয়ে চলে যান তার স্বামী। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে রুমার। ভাড়া বাসা ছেড়ে আশ্রয় নেন আখাউড়া রেলস্টেশনে। অন্যের কাছে হাত পেতে চলতো পেট। সুমি আক্তার নামে এক নারীকে মা ডাকতেন। সেই নারী ২৮ জুন রাত ১১টার দিকে রুমাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

সেখানেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দুই ছেলে সন্তানের জন্ম দেন রুমা আক্তার। সন্তানদের নাম রাখেন হাসান ও হোসেন। তবে সন্তানদেরদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন রুমা। নিজে এখানে-সেখানে বেড়ে উঠলেও ছেলে সন্তানদের কীভাবে লালন-পালন করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেন, ‘ওই নারীকে উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। তাকে সুবিধাভোগীর আওতায় এনে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আত্মনির্ভরশীলতার জন্য রুমাকে এসময়ে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি যেন পিছিয়ে না পড়েন, সেজন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। ওই নারী ও তার সন্তানদের নিয়মিত খোঁজও রাখা হচ্ছে। ওই দোকানির পাওনা বাবদ সাত হাজার টাকা জেলা প্রশাসন থেকে পরিশোধ করা হয়েছে।’


সর্বশেষ - রাজনীতি