মোঃ আবু সালেহ্ মুসা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে মোকলেসা (৩০) নামে স্বামীর পরিতাক্ত এক মহিলার আত্ব্য-হত্যা না হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্লের সৃষ্টি হয়েছে৷ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও র্মগে পাঠিয়েছেন৷
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে, হরিপুর উপজেলার ৬ নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া রামপুর গুচ্ছ গ্রামে সৎ বাবা আব্দুল হাকিম এর বাড়িতে মেয়ের সয়ন ঘড়ে এই ঘটনা ঘটে ৷
এই বিষয়ে মেয়ের মা তারাবানু বলেন, আমার মেয়ে মোকলেসা স্বামী পরিতাক্ত হওয়ার পর থেকে আমার বর্তমান স্বামী আব্দুল হাকিম ও আমার বাড়িতেই থাকতো ৷ তাকে বিদেশেও পাঠানো হয়েছিল ৷ সেখানে ৩ বছর থাকার পর গত ২০১৭ ইং সালে বাড়ি ফিরে আসে এবং তখন থেকেই আমার সংসারে থাকতো ৷ গত মঙ্গলবার প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া করে তার ছোট দুই বোন কে নিয়ে তার ঘরে ঘুমাতে যায় ৷ গত কাল বুধবার ভোর অনুমানিক ৫ টার দিকে আমি আমার ছোট মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৬) কে ঘরের দোরজা খোলার জন্য ডাকলে সে ঘুম থেকে ওঠে দরজা খুলতে গিয়ে তার বোন মোকলেসাকে ঘরের সরের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো দেখে চিৎকার করে ঘর থেকে বের হয়ে যায় ৷ অতপর বাড়িতে সকলে ঘটনা দেখে চিল্লা-হাল্লা ও কান্না-কাটি করলে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে ৷ ঘটনাটি হরিপুর থানা পুলিশকে অবহতি করলে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ফাঁস থেকে গলায় রক্ত মাখা লাশ নামায় ৷ এই সময় লাশের পায়ের নিচে থেকে রক্ত মাখা পরিবারের রান্না-বান্নার কাজে ব্যবহারিত দুইটি চাকু পাই ৷ চাকু দুইটি জব্দ করেছে থানা পুলিশ৷
হরিপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোট সংগ্রহ করেছি, এই সময় লাশের পায়ের নিছে দুইটি রক্ত মাখা পাওয়া চাকু জব্দ করা হয়েছে ৷ এটি হত্যা না আত্ব্য-হত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ঠাকুরগাঁও ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ রির্পোটের ভিত্তিতে পরর্বতিতে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ এই বিষয়ে হরিপুর থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে৷