1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চার স্থলবন্দরের উন্নয়নে ৯৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

সরকার দেশের চারটি স্থলবন্দরের উন্নয়নে ৯৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরসমূহের অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধা বাড়বে। একই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে কাস্টমসের অপারেশন আধুনিকায়ন করা সম্ভব হবে, যা আমদানি বা রফতানি বাণিজ্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। ফলে আমদানি বা রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ও দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে। পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব আয়, যা পরোক্ষভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার কোম্পানীগঞ্জ, যশোর জেলার সারশা (বেনাপোল) এবং খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানিযোগ্য পণ্যের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যানবাহনের পার্কিং সুবিধা সৃষ্টি করা, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মালামাল পরিবহন ও যাত্রী চলাচলের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ পোর্ট বিল্ডিং এবং আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা, বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে সিসিটিভি ও স্বয়ংক্রিয় গেট পাস সিস্টেম স্থাপন করা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে স্থলপথে আন্তঃবাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে নেওয়া প্রকল্পটির প্রাক্কলিত অনুমোজিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। পরবর্তীতে প্রকল্পের আওতায় ভোমরা স্থলবন্দরের পরিবর্তে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর অন্তর্ভুক্তি, ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে প্রকল্প ঋণের পরিমাণ আন্তঃসমন্বয়, অন্যান্য জিওবি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে প্রকল্পটিতে সংশোধনী আনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনুমোদিত প্রকল্প তালিকায় (১৫১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা) অন্তর্ভুক্ত আছে।

এদিকে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটিতে দ্বিতীয় দফা সংশোধনী আনা হয়েছে যা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। প্রথম সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ৬৯৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৭৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় আরও বাড়িয়ে তা ৯৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে (জিওবি) ১৯৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ বাবদ ৭৭১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বিশ্বব্যাংক থেকে। ২০১৭ সালে নেওয়া প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০২১, প্রথম সংশোধনীতে ২০২২ এবং দ্বিতীয় সংশোধনীতে আগামী ২০২৫ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধ্যায় ৬ এর ৬.২.৬ নম্বর অনুচ্ছেদে স্থলবন্দরসমূহ উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে যা আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া, প্রকল্পটি দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এসডিজির নবম লাখ ‘অভিঘাত সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের প্রবর্ধন এবং উদ্ভাবনার প্রসারণ’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং প্রকল্পটি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ও এসডিজির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

অনুমোদনের লক্ষ্যে একনেকে উপস্থাপনের সময় পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরসমূহের অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি পাবে এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে কাস্টমসের অপারেশন আধুনিকায়ন করা সম্ভব হবে, যা আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। ফলে আমদানি-রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ও দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা পরোক্ষভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বর্ণিতাবস্থায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি মোট ৯৬৬.১৩ কোটি (জিওবি ১৯৪.৪৭ কোটি এবং প্রকল্প ঋণ ৭৭১.৬৬ কোটি) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০১৭ হতে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেক-এর সানুগ্রহ বিবেচনা ও সদয় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরসমূহের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। একই সঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন নিশ্চিত হবে। ফলে আমদানি বা রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ও দেশের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে। পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব আয়, যা পরোক্ষভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি