1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মধ্যে নিহিত আছে জীবনের নিরাপত্তা

মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধী সহ কয়েকটি হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছে। বহুল আলোচিত হত্যা মামলায় ফাঁসির রায়কে বিজ্ঞজন যুগান্তকারী হিসেবে গণ্য করেছেন। অর্থ, শক্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করলে পার পাওয়া যায় না, বিচারের সম্মুখীন হতে হয়- এসব রায় সমাজে সে বার্তা পৌঁছে দেবে বলে মন্তব্য করছে শিক্ষিত মহল। হত্যা, খুন, সন্ত্রাস ও যাবতীয় অপরাধের যথাযথ শাস্তি প্রয়োগ হলে অপরাধপ্রবণতার লাগাম ধরা যাবে।

সমাজে স্বস্তি ফিরে আসবে। এ বিশ্ব মানবতাবোধ ফিরে পাবে। নিশ্চিত হবে নিরীহ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘হে বুদ্ধিমানগণ! কিসাসের (সমপরিমাণ বদলার) মধ্যে তোমাদের জন্য জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।

’ সুরা বাকারা আয়াত ১৭৯। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কিসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। এরপর তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করবে ও সততার সঙ্গে তা প্রদান করা হবে।

এটা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। ’ সুরা বাকারা আয়াত ১৭৮। অন্য জায়গায় আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত, জখমের বিনিময়ে সমান জখম, এরপর যে ক্ষমা করে সে গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালিম। ’ সুরা মায়েদা আয়াত ৪৫।

উল্লেখ্য, বনি ইসরাইলের কিতাবে হত্যার পরিবর্তে হত্যার বিধান ছিল। আল কোরআন এ আইন বহাল রেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ অনুগ্রহ করে মুসলমানদের জন্য ন্যায়সংগতভাবে রক্তপণের ব্যবস্থা রেখেছেন। নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশরা সম্মত হলে কিসাস বা সমপরিমাণ বদলা ক্ষমা করে রক্তপণ গ্রহণের অনুমতি আছে। তবে তা ন্যায়সংগতভাবে ও উত্তম পন্থায় আদায় করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে অন্যায় অপরাধ ও অন্যায়ভাবে মানব হত্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পত্রিকার পাতায় প্রতিদিন খুনের তালিকা বিস্তর লম্বা হচ্ছে। অবস্থা বেগতিক বুঝে জীবিতরাও উৎকণ্ঠিত, কখন কার কী হয়! কেউ যেন মুহূর্তের জন্য নিরাপদ নয়। পৃথিবীর এ করুণ পরিস্থিতিতে ইসলামের এ বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। নেই হত্যার পরিবর্তে হত্যা আইন কার্যকর ছাড়া অন্য কোনো উপায়। তবে জেনে রাখার বিষয় হলো, এ বিধান কার্যকর করা একমাত্র সরকারের দায়িত্ব। কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কিংবা কোনো চরমপন্থি মহলের দায়িত্ব নয়। নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। বরং তা আরেকটি জঘন্য অপরাধ। ইসলাম কোনো ধরনের অপরাধকে সায় দেয় না। সকল প্রকার সীমালঙ্ঘনকারীর জন্য ইসলাম কঠোর শাস্তি ও দৃষ্টান্তমূলক দন্ডবিধির ব্যবস্থা রেখেছে। ইসলামের প্রতিটি বিধানে রয়েছে শান্তি ও নিরাপত্তা। অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির পতাকা উড্ডয়নের জন্যই ইসলামের আগমন।

লেখক : মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি – গবেষক, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


সর্বশেষ - রাজনীতি