দেশের কয়েকজন শীর্ষ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিবৃতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তারা জানান, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপ নির্দিষ্ট দলের হয়ে বিভিন্ন ধরণের বিবৃতি দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশে এই লবি একটি পেশাদারি কার্যক্রম। এরা শুধু বাংলাদেশ নয় বিভিন্ন দেশকে নিয়ে বিবৃতি দেয়।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এরা অতীতে এ ধরনের কাজ করেছে এখনও করছে। তবে যারা এগুলো করাচ্ছে তাদের উচিত আগে আমাদের দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখা।
এগুলো বেশি করলে বড় বড় দলের মধ্যে শুধুই বিভাজন বাড়বে, কমবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন। দেশের সব রাজনৈতিক দলকেই, লবি না করে বা চিঠি ইস্যু না করিয়ে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম রানা বলেন, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক। কিন্তু বিদেশিরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ও কৌশলের কাছে হার মেনেছে। যার ফলে তারা এখন নানাভাবে সরকারকে চাপে ফেলে স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায়। এখন যত বিবৃতি আসবে সেসবই একই সূতোয় গাঁথা। এই দক্ষিণ এশিয়াতে তাদের প্রভাব বাড়াতে বাংলাদেশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ শামস্ মোরসালিন বলেন, বিদেশিদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে ‘মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি’ অথবা ‘যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শির ঘুম নাই’।
তিনি বলেন, আমি তাদের বিবৃতি পড়েছি। সবই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোথাও কোথাও আমার সন্দেহও হয়। এসব বিবৃতিতে কি আমাদের দেশের ভাবমুর্তি বা বৈদেশিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যে কোন প্রভাব পড়বে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। এসব নিয়ে ভাববার কোন কারণই নেই। বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে এসমস্ত প্রভাব মোকাবেলা করতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।