মাদারীপুরে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। ইনজেকশন ও ওষুধ ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করলে চাহিদা বেশি থাকে। তাই এই পদ্ধতিতে এগিয়ে গতবারের লোকসান আসছে কোরবানির ঈদে কাটিয়ে নেয়ার আশা খামারিদের।
সরেজমিন মাদারীপুরের গননপুরের বাসিন্দা সোহাগ খানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ১৫টি গরু দিয়ে শুরু করেন মুর্শিদা অ্যাগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৫ বছরের মাথায় ফার্মে এখন রয়েছে ৩৫টি গরু। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন পরম যত্নে। কোরবানির ঈদে সব গরু বিক্রির আশা তার।
এ ছাড়া পূর্ব ছিলারচরের সজিব হোসেনের মোতাহার হোসেন ডেইরি ফার্ম রয়েছে ২৫টি। বছরজুড়ে খড়, কুটা, খৈল, ভুসি ও ঘাস খাইয়ে গরুগুলো মোটাতাজা করেছেন। ভালো লাভের স্বপ্ন এই খামারির। একই চিত্র জেলার সব খামারের। দিনরাত সমানভাবে ফার্মের গরুগুলোকে কোন ইনজেকশন ও ওষুধ ছাড়াই দেয়া হচ্ছে দানাদার খাবার। এতে কৃত্রিম উপায়ে বেড়ে উঠেছে গবাদিপশু। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
খামারি সোহাগ খান বলেন, একটু একটু চেষ্টা করে খামারে ৩৫টি গরু দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছি। কোরবানির ঈদে সব গরু বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যেক খামারিকে সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। দেশীয় পদ্ধতির বাইরে এবার জেলায় কেউ গবাদিপশু মোটাতাজা করছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছে।