সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওড় পাড়ের দুর্গম গ্রামগুলোতে এ সহায়তা দেয়া হয়।
এ সময় তারা বানভাসি মানুষের কাছে চিড়া, মুড়ি, গুড়, মোমবাতি, বিস্কিট, খাবার স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধ, বিশুদ্ধ পানির বোতলসহ বিভিন্ন উপকরণ ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব হাসানের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি দল দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা স্পিডবোট, নৌকা ও ট্রলারে করে দুর্গম হাওড়ের প্রত্যন্ত লোকালয়ে এসব ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন।
পলাশ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের ছেইছা মিয়া বলেন, বন্যার সময় কেউ তাদের বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী দেয়নি। নৌবাহিনী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন।
লেদা মিয়া বলেন, নৌবাহিনীর সদস্যরা ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে নিজেরা পানিতে নেমে মানুষের ঘরে ঘরে জীবনরক্ষার সামগ্রী দিয়েছেন।
ছমির আলী বলেন, যেসব গ্রামে বড় নৌকা আসে না, সেখানে তারা স্পিডবোটে ত্রাণবোঝাই করে বিচ্ছিন্ন গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আদুখালী গ্রামের শরিফুননেছা বলেন, নৌবাহিনী যে শুকনা খাবার দিয়েছেন, কম করে হলেও ৬ থেকে ৭ দিন খেতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সিলেটের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কামরুল আবেদীন বলেন, নৌবাহিনী হাওড় এলাকায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ করছে। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে নৌবাহিনী।
তিনি বলেন, বুধবার পর্যন্ত হাওড় এলাকা থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে নৌবাহিনী।