মুশফিক ফজল আনসারী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব। যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
চমকে যাওয়ার মতো তার আরো একটি পরিচয় আছে। সাংবাদিক নামধারী এই আনসারী কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হারিছ চৌধুরীর ভাগ্নে। হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের হয়ে তারেক রহমানের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী। সেই সূত্রেই লন্ডন ও ওয়াশিংটনে বাড়ির মালিক হন তিনি।
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে তাসনিম খলিল ও কনোক সারওয়ারের সাথে লিয়াজোঁর কাজটি করে চলেছেন এই আনসারী। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস ও জাতিসংঘের মতো জায়গাতেও সাংবাদিক পরিচয়ে নিয়মিত ঘোরাফেরা করেন তিনি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা নির্ধারণ করেন তিনি।
নিজেকে ‘জাস্ট নিউজ বিডি’ নামক একটি আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইনের সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন আনসারী। তার হাতে রয়েছে ফরেন প্রেস সেন্টারের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল এবং জাতিসংঘের অ্যাক্রিডেশন কার্ড।
এসব কার্ড ব্যবহার করে- জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা মন্তব্য এবং বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পক্ষে নানা প্রশ্ন করেন তিনি। আবার বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও দলটির নেতা ও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
একজন সক্রিয় দলীয় কর্মী হিসেবে তিনি যেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাংবাদিকতার কার্ড ব্যবহার করছেন, তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন প্রকৃত পেশাজীবী সাংবাদিকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে আনসারীর কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিন্দা জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এ বিষয়ে লিখিত উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের বাংলাদেশি মিশন।