1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাঙালি সেনা রেজিমেন্ট সৃষ্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস 

অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

ব্রিটিশ ভারতে শিখ ও গুর্খা সৈনিকরা ইংরেজদের প্রতি বেশি অনুরক্ত ছিল। সিপাহি বিদ্রোহ দমনে তারাই বেশি ভূমিকা রাখে। এই প্রভু ভক্তির কারণে ব্রিটিশ সেনা বাহিনীতে তাদের অন্তর্ভুক্তি একচেটিয়া হয়ে পড়ে। শিখ ও গুর্খা বাহিনীর আনুগত্য আজও ভারতীয় বাহিনীতে লক্ষ্য করা যায়।

পশ্চিম পাঞ্জাবের মুসলিম ভূস্বামীদের ব্যাপক অংশ ইংরেজদের সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এরা ব্রিটিশ বাহিনীতে অগ্রাধিকার পায় এবং এরাই পাকিস্তান হওয়ার পর মূল সেনাবাহিনী হয়ে দাঁড়ায়, যারা একাত্তরে বাংলাদেশিদের উপর হায়নার মতন ঝাপিয়ে পড়ে।

সেনা বাহিনীতে বাঙালি সৈনিক নেওয়া প্রথম শুরু হয় ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। প্রথমবারের মতন একটি বাঙালি রেজিমেন্ট গঠন হয়, যার নাম দেওয়া হয় ‘বেঙ্গলি ডাবল রেজিমেন্ট’। শুরুতে এতে সৈন্য সংখ্যা ছিলো ২২৮ জন।

এই প্রক্রিয়াতেই ১৯১৭ সালে ২৬ জুন প্রথম বাঙালি ব্যাটালিয়ন এর সৃষ্টি হয়। যার নামকরণ হয় ‘49 th Bengali Regiment’। এর কিছু দিন পর এই ৪৯ রেজিমেন্টকে মেসোপোটেমিয়া (ইরাক) যুদ্ধে পাঠানো হয়, যেখানে অধিকাংশ রোগাক্রান্ত হয়। পরে কুর্দি বিদ্রোহ দমনে তাদের পাঠানো হয়। এরপর ১৯২০ সালে এই রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও বাঙালিদের নিয়ে একক বিশাল ইউনিট গড়ে তোলা হয়নি।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর মোট সংখ্যা ছিল ১৩ লাখের মতন, এর মধ্যে বাঙালি সৈন্য ছিল মাত্র ৬৮৪ জন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙালি ইউনিট গড়ে তোলা হয়নি তথাপি বাঙালি সৈন্য সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার।

পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনীই দুই দেশে ভাগ হয়ে যায় এবং এখানেও পাঞ্জাবি প্রাধান্য বজায় থাকে।

বরাবরের মতন পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে বাঙালি সৈন্যদের (ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) সংখ্যার দিক থেকে শুধু নয়, অস্ত্র, মান, মর্যাদা সবদিক থেকেই বঞ্চিত রাখা হয়।

এর প্রেক্ষিতেই বাঙালি সৈন্যরা ক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী হয়ে উঠে ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে, বীরোচিত ভূমিকা রাখে।

লেখক : অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম, মনোবিদ।


সর্বশেষ - রাজনীতি