1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহ্বান শেখ হাসিনার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার এবং অংশীদারত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ ভারত মহাসাগর। আমি এই সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।

শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী একটি টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমিতে প্রত্যাবাসনে সক্রিয় বৈশ্বিক সহায়তা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫ দেশের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তবে সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরে সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তোলার জন্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়নের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ অঞ্চলের অনেক দেশের জলবায়ু ঝুঁকি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়াদান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থা জোরদারে প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌচলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার অনুশীলনকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।

এই অঞ্চলে শান্তি সংস্কৃতি এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। যা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এই অঞ্চলে ও অঞ্চলের বাইরেও ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নকে সহজ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঠেকিয়েছে। এখন, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসেবে বহু শতাব্দী ধরে সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এবং এটি অনেক আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়। বাংলাদেশ ভারতীয় মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের কাউন্সিলেরও বর্তমান সভাপতি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পুরোনো ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে। আমরা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য আমাদের ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। একটি সহনশীল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে অন্য সব দেশও একই কাজ করবে বলে আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ এবং তেল পরিবহনের ৬০ শতাংশ এই অঞ্চলের মহাসাগর ও সমুদ্র পথে পরিচালিত হয়। তবে বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রকৃত ব্যয় গত ১৫ বছরে তিনগুণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, মহাসাগর সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে চমৎকার সুযোগ প্রদান করে। তবুও অনেক সম্ভাবনা এখনও অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকান অঞ্চলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৬০ শতাংশ রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলের অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছিলেন। একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মেরিটাইম জোনের সীমানা নির্ধারণ করতে, সীমানার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের সুবিধার্থে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেছিলেন।

এই আইনটি ‘সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২’ গৃহীত হওয়ার ৮ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সম্মেলনের থিম ‘শান্তি, অংশীদারত্ব ও সমৃদ্ধি: একটি সহনশীল স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে’- খুবই উপযুক্ত ও সময়োপযোগী। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে এ থিম আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এগুলি বিশ্বের সব দেশের জন্য অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বৈশ্বিক মন্দা, খাদ্য, জ্বালানি এবং সার সংকটের ফলে বিশ্বের সব মানুষের জীবনযাত্রার অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলও জলবায়ু পরিবর্তন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে এবং একটি উজ্জ্বল অঞ্চলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে ‘শান্তির গ্যারান্টি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ, ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে জাতির পিতার দেওয়া ভাষণ থেকে ঐতিহাসিক উদ্ধৃতি রেজুলেশনের ১৪তম অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নীতিমালার অংশ।

এতে লেখা আছে- ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ-ব্যাধি, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় সবার প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা না করার ওপর জোরদান এই উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কারণ বাংলাদেশ একটি সহনশীল ভবিষ্যতের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের চেষ্টা করছে। এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে অর্থপূর্ণ সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার আকারে বাংলাদেশের কার্যকর অংশীদারত্ব প্রয়োজন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মানব জাতির টিকে থাকার জন্য শান্তি অপরিহার্য; এটি সারা বিশ্বে নারী ও পুরুষের গভীরতম আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সেই ভাষণে তিনি ভারত মহাসাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন। বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রবল প্রবক্তা হয়ে উঠেছে। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আমরা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করি, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। পরবর্তীকালে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘শান্তির সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক বছর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ২০০১-২০১০ সালকে ‘শান্তির সংস্কৃতি ও অহিংসার দশক’ হিসাবে মনোনীত করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতিকে একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখে, যা শান্তির সবদিক শক্তিশালী করবে। এ কারণেই বাংলাদেশ জাতিসংঘের বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা ও শান্তি-নির্মাণের প্রচেষ্টায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় আমাদের সৈন্যদের অবদান বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় এক দশকের মধ্যে তিনগুণ বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব মানদণ্ড পূরণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য সহায়ক শক্ত ভৌত অবকাঠামোসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইছে। গত বছর আমরা নিজস্ব-অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেছি। সম্প্রতি আমরা রাজধানীতে প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবা উদ্বোধন করেছি। শিগগির চট্টগ্রামে নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল শেষ হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এই ধরনের প্রথম টানেল।

তিনি বলেন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক, উন্নত দেশ সোনার বাংলাতে রূপান্তর করা। পাশাপাশি ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু সহনশীল ব-দ্বীপ গড়ে তোলা।


সর্বশেষ - রাজনীতি