1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

দেশি পশুতেই মিটবে কোরবানির চাহিদা

বানিজ্য প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

কোরবানির ঈদের এখনো বাকি প্রায় দেড় মাস। পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন পশুর ব্যাপারী ও খামারিরা। ব্যাপারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গৃহস্থ ও খামারিদের কাছ থেকে গরু কিনছেন। অনেক গৃহস্থ ও খামারি সরাসরি হাটে নিয়ে গরু বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। দুই-তিন সপ্তাহ পর থেকেই জমে উঠবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পশুরহাট। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দেশে এবারও পশুর সংকট নেই, আমদানির প্রয়োজন হবে না।

ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬শ টাকা। সেই হিসাবে তিন মণ ওজনের একটি গরুর দাম পড়ছে ৭২ হাজার টাকা। তবে ঈদুল ফিতরের আগে থেকে গরুর মাংসের বাজার ওঠানামা করছে। ঈদের আগে গরুর মাংসের কেজি ৭শ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ৭শ টাকা কেজি ধরলে তিন মণের গরুর দাম পড়বে ৮৪ হাজার টাকা।

২৮ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করছেন কুষ্টিয়ার নাসির উদ্দিন। কয়েক মাস ধরে তিনি এলাকায় ঘুরে ঘুরে গরু কিনছেন। ঈদের আগে তিন-চার মাস খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে বিক্রি করবেন লাভে। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক গরু কিনেছেন তিনি।

নাসির উদ্দিন বলেন, দেশে গরু আছে। গরুর সংকট নেই। যে গরু আছে, তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব।

ব্যাপারীদের পাশাপাশি অনেক খামারি নিজেরাই গরু হাটে নিয়ে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ নামে একটি খামার রয়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুরে। এ খামারে আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে দেড় হাজারের বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে দেড় লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। ১৪শ কেজি ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে সর্বোচ্চ।

বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসব গরু কেনা হয় বলে জানালেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইনচার্জ মো. মাঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোরবানির প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমরা বড় গরু সংগ্রহ করেছি।

কোরবানির পশুর চাহিদা ও প্রস্তুতি নিয়ে এ বছর এখনো স্পষ্ট তথ্য নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে। মাঠপর্যায়ের তথ্য পেতে অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সার্বিক তথ্যের ভিত্তি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, দেশে প্রস্তুত হওয়া পশু দিয়ে এবারও কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।

অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত কোরবানির ঈদে সারাদেশে পশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার। যার মধ্যে গরু-মহিষ ছিল ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ছিল ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ও অন্যান্য পশু ছিল চার হাজার ৭৬৫টি। ওই বছর করোনার প্রকোপ থাকায় কোরবানির পশু বিক্রি কিছুটা কম ছিল।

তবে এবার করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় গত কোরবানির ঈদের তুলনায় পশুর চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। মাঠপর্যায় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। গত ১০ মে এ চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির উত্তর এলে কোরবানির পশুর সংখ্যা ও চাহিদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিনাত সুলতানা বলেন, ‘গত ১০ মে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠি পাঠিয়েছি। এটা আসতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। তবে এটা স্পষ্ট যে, দেশে কোরবানির গরুর সংকট নেই। দেশে প্রস্তুত করা গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গরুর দামও বাড়তি থাকতে পারে।’

কোরবানির পশুর চাহিদা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য এবার ভালো। আশা করছি, গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়তি চাহিদা হবে। তবে চাহিদা বাড়লেও গরুর সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশের খামারে পর্যাপ্ত গরু প্রস্তুত আছে। আশা করি, কোরবানিতে চাহিদা মিটিয়েও গরু মজুত থাকবে। কোনোভাবেই বিদেশ থেকে গরু আনার প্রয়োজন হবে না।’


সর্বশেষ - রাজনীতি