আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির তালেবান সরকার। কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি আদেশও জারি করেছে। তবে তালেবান সরকারের এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে নিরাপত্তা শঙ্কায় সংস্থাটির আফগানিস্তানের সব নারী কর্মীকে ৪৮ ঘণ্টা অফিসে যেতে নিষেধ করেছে সংস্থাটি।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিশ্বের কোনো দেশই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। বেশিরভাগ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা আফগানিস্তানে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়।
এতে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশটির হাজার হাজার বর্তমানে মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। খাদ্য সংকটের সম্মুখীন দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যা। এ অবস্থায় অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশটি থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নিলেও জাতিসংঘ তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
তালেবান ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায় নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এবার জাতিসংঘের আফগান নারী কর্মীদের আফগানিস্তানে কাজ করা নিষিদ্ধ করলো তালেবান সরকার। দেশটির প্রায় ৩ হাজার ৩০০ নারী কর্মী জাতিসংঘের হয়ে কাজ করে।
জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা এসব নারীর ওপর এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘আমরা এখনও দেখছি যে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে আমাদের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে।’
বিষয়টি নিয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করার কথাও ভাবছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে জাতিসংঘ আফগানিস্তানের সকল কর্মীকে ৪৮ ঘণ্টা অফিসে যেতে বারণ করেছে। এমনিতেও আগামী শুক্র ও শনিবার দেশটিতে সরকারি ছুটি থাকায় রোববারের আগে কাজে ফিরবেন না নারীরা।
গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবান সরকার আফগানিস্তানের বেশিরভাগ নারী এনজিও কর্মীকে কাজ করা থেকে বিরত রাখে। আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীরা বলছেন, তালেবানের এমন পদক্ষেপের কারণে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।